পাঁচ শীর্ষ আধিকারিকের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মীমাংসা হয়নি এখনও। তার আগেই ফের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে পদের অপব্যবহার ও এক বাস্তুকারের নিয়োগ বেআইনি অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে চিঠি জমা পড়েছে। চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে কর্মসমিতিকেও। উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, “আমাদের কাছে অনেক রকম চিঠি আসে। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” তবে কর্মসমিতির একাধিক সদস্য চিঠি দু’টি পাওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন।
কাদের বিরুদ্ধে ওই চিঠি? এক জন হলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী বাস্তুকার হিতেন্দ্রনাথ ঘোষ। অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তি মেনে তাঁকে নিয়োগ করা হয়নি। ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই পদের জন্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, সরকারি সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করার ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ৩০ বছর বয়স হতে হবে। তবে কোনও চাকরিপ্রার্থী ‘ব্যতিক্রমী যোগ্যতা’ সম্পন্ন হলে কর্তৃপক্ষ বয়সে ছাড় দিতে পারেন। অভিযোগ, হিতেন্দ্রনাথবাবু কোনও রকম অভিজ্ঞতা ছাড়ায় ২৬ বছর বয়সে নিযুক্ত হয়েছেন ওই পদে। কোনও সরকারি সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তাঁর ছিল না। এমনকী, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি ছাড়া আর কোনও ডিগ্রিও হিতেন্দ্রনাথবাবুর নেই। চার বছর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেছেন তিনি। ফলে ব্যতিক্রমী যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী হিসেবেও তাঁকে বিবেচনা করার কথা নয়।
হিতেন্দ্রনাথবাবুর অবশ্য দাবি, “সব ভুয়ো হলে চাকরি পেলাম কী করে!” অভিযুক্ত আর এক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁ। তাঁর বিরুদ্ধে পদের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে আগেও কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্র আচার্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অবশ্য তখন জানানো হয়েছিল, যাঁরা অভিযোগ করেছেন সেই নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ নেই। বিষয়টি নিয়ে ফের তদন্ত চেয়ে এ বার উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন হাইকোর্টের আইনজীবী উত্তমকুমার মণ্ডল। ষোড়শীমোহনবাবুর যদিও দাবি, “অবান্তর অভিযোগ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy