Advertisement
E-Paper

লাগাতার পুকুর ভরাট, প্রতিবাদে পথে বিজেপি

জলাশয় বুজিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা বীরহাটা থেকে মিছিল করে ২ নম্বর শাঁখারিপুকুর এলাকার একটি পুকুরে আবর্জনা ফেলে বোঝানোর প্রতিবাদে সামিল হন। কোদাল, বেলচা হাতে পুকুর সাফাইয়েও হাত লাগান। বিজেপির অভিযোগ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের প্রচ্ছন্ন মদতে পুকুরটি বোঝানো হচ্ছে। এতে পুরসভার গাফিলতি রয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৫ ০১:৪৯
শাঁখারিপুকুরে সাফাইয়ে ব্যস্ত বিজেপি নেতারা। নিজস্ব চিত্র।

শাঁখারিপুকুরে সাফাইয়ে ব্যস্ত বিজেপি নেতারা। নিজস্ব চিত্র।

জলাশয় বুজিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা বীরহাটা থেকে মিছিল করে ২ নম্বর শাঁখারিপুকুর এলাকার একটি পুকুরে আবর্জনা ফেলে বোঝানোর প্রতিবাদে সামিল হন। কোদাল, বেলচা হাতে পুকুর সাফাইয়েও হাত লাগান। বিজেপির অভিযোগ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের প্রচ্ছন্ন মদতে পুকুরটি বোঝানো হচ্ছে। এতে পুরসভার গাফিলতি রয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার পুকুর সাফাই অভিযানে ভাগ নেওয়া বিজেপির জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি দেবীপ্রসাদ মল্লিক বলেন, ‘‘শহরের অনেক জলাশয়ই বুজিয়ে প্রোমোটারের হাতে দেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগে মহকুমাশাসকের (উত্তর) কাছে আমরা আবেদনও করেছি। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘শাঁখারিপুকুরের কুণ্ডুপুকুর নামে ওই জলাশয়টি দীর্ঘ দিন ধরেই আবর্জনা, মাটি ফেলে বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শঙ্খশুভ্র ঘোষকে বলেও কোনও লাভ হয়নি।’’ এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত সাহা, রঘুনাথ কুণ্ডুদেরও অভিযোগ, পুকুরটিতে বহু দিন ধরেই আবর্জনা জমছে। পুরসভায় জানিয়েও লাভ হয়নি। পুকুরটির মালিকেরাও শহরে থাকেন না। তাঁদের দাবি, পুকুরটিকে ঘিরে যে বাড়িগুলি রয়েছে সেখানে আগুন লাগলেও ওই পুকুর থেকে জল পাওয়া যাবে না। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক (গ্রামীণ) সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘‘দলের তরফে শহর ও লাগোয়া জলাশয়গুলির বর্তমান অবস্থা, কতগুলি বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শীঘ্রই আন্দোলনে নামবে দল।’’

তবে পুকুর বোজানোর অভিযোগ মানতে চাননি ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শঙ্খশুভ্রবাবু। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকজন বাসিন্দা পুকুরটির পাশে আবর্জনা, মাটি ফেলছেন। ওখানে একটি ভ্যাট করতে হবে। তৃণমূল এর সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয়। বিজেপি বিরোধীতার নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’’ পুরসভার জঞ্জাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সেলিম খানেরও দাবি, শহরের অনেক এলাকাতেই পুকুর বোঝানোর প্রবণতা রয়েছে। অভিযোগ পেলেই পুরসভার তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘শাঁখারিপুকুরের ওই জলাশয়ের বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। নোংরা যাতে না ফেলা হয় তা দেখব। জলাশয় বুজিয়ে আবাসন তৈরির প্রবণতা রোখারও চেষ্টা চলছে।’’

Bardhaman Agitation BJP pond water body raghunath kundu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy