পুলিশের হাতে আটক চালক-সহ যাত্রীরা নিজস্ব চিত্র।
সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে সওয়ার হয়েছিলেন ১০ যাত্রী। বর্ধমান শহরের জিটি রোড ধরে যাওয়ার পথে কার্জন গেট চত্বরে ট্র্যাফিক পুলিশ আটকায় অ্যাম্বুল্যান্সটিকে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক স্বীকার করেছেন যে টাকার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী তোলেন তিনি। অ্যাম্বুল্যান্স চালক, খালাসি-সহ মোট ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কার্জন গেটের কাছে একটি সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর অনেককে বসে থাকতে দেখে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশের সন্দেহ হয়। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে আটক করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক শিশির কুমার দাস জানান, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এক রোগীকে বীরভূমের নলহাটির পাইকপাড়ায় ছেড়ে ফেরার পথে তিনি দেখেন মুর্শিদাবাদের চাঁদের মোড় এলাকায় ১০ যুবক বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন। চালককে যুবকরা জানান যে ডানকুনি যাবেন তাঁরা। তার পর ২৫০ টাকা মাথা পিছু ভাড়ায় সবাইকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপান তিনি।
আটক ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অ্যাম্বুল্যান্সটিকেও আটক করা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে চাঁদ মহম্মদ নামের এক যুবক বলেন, ‘‘চাঁদের মোড় থেকে ২৫০ টাকা মাথা পিছু ভাড়ায় অ্যাম্বুল্যান্সে চেপেছিলাম। আমরা সবাই রাজমিস্ত্রির কাজ করি। আমরা যানতাম না অ্যাম্বুল্যান্সে যাওয়া অপরাধ। বাস না পাওয়াতেই বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে চেপেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy