Advertisement
E-Paper

পাঁচ ব্লকে আগুন বাগে আনতে হিমসিম দমকল

গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে চার দিকে আগুন লাগার ঘটনাও। কখনও কাঁকসার গ্রামে, তো কখনও আউশগ্রামের কোনও প্রান্তে। কিন্তু গোটা এলাকায় আগুন নেভানোর জন্য ভরসা একমাত্র দমকল কেন্দ্র। এর উপরে নির্ভর করে রয়েছেন পাঁচটি ব্লকের মানুষ। অনেক সময়ে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই এলাকার মানুষ আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৬ ০৬:৪০

গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে চার দিকে আগুন লাগার ঘটনাও। কখনও কাঁকসার গ্রামে, তো কখনও আউশগ্রামের কোনও প্রান্তে। কিন্তু গোটা এলাকায় আগুন নেভানোর জন্য ভরসা একমাত্র দমকল কেন্দ্র। এর উপরে নির্ভর করে রয়েছেন পাঁচটি ব্লকের মানুষ। অনেক সময়ে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই এলাকার মানুষ আগুন নিভিয়ে ফেলেন। অনেক সময়ে আবার পুড়ে ছাই হয়ে যায় সব কিছু। তার রোষ গিয়ে পড়ে দমকলকর্মীদের উপর। সে জন্য বুদবুদ, আউশগ্রাম এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্রের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।

কাঁকসা থানায় রয়েছে একটি মাত্র দমকল কেন্দ্র। কাঁকসার বিস্তীর্ণ এলাকা ছাড়াও তার উপরে নির্ভরশীল গলসির দু’টি ব্লক, আউশগ্রামের দু’টি ব্লক ও গুসকরা পুর এলাকা। এই সব এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে পানাগড় দমকল কেন্দ্র থেকেই ইঞ্জিন পাঠাতে হয়। কিন্তু অনেক সময়েই বেশি দূরত্বের জন্য তারা সময়ের মধ্যে পৌঁছতে পারে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। পানাগড় দমকল কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানে রয়েছে তিনটি বড় ও দু’টি ছোট ইঞ্জিন। কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫০ জন। কাঁকসা থানা এলাকার মধ্যে রয়েছে বায়ুসেনার ছাউনি, তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার ‘বটলিং প্ল্যান্ট’। এ ছাড়া বাঁশকোপা শিল্পাঞ্চলে রয়েছে প্রচুর ছোট-বড় কারখানা। কাঁকসার বামুনাড়া, আড়া অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে প্রচুর বহুতল আবাসন। ফলে, এই এলাকায় দমকলের উপরে চাপ রয়েছে অনেকটাই। সেনা ছাউনির নিজস্ব দমকলের ইঞ্জিন রয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে সাহায্য করতে হয় পানাগড়ের দমকলকেও।

দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের মোরবাঁধ, ভেদিয়া ইত্যাদি এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটলে পানাগড় কেন্দ্র থেকেই ইঞ্জিন পাঠাতে হয়। ভেদিয়া পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। ফলে, খবর পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে কেন্দ্র থেকে ইঞ্জিন বেরোলেও ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে যায়। অন্য দিকে, গুসকরা ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় কোথাও আগুন লাগলে কখনও পানাগড়, কখনও ভাতার আবার কখনও বর্ধমান থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসে। প্রতিটি কেন্দ্রের দূরত্ব সেখান থেকে প্রায় সমান। ফলে, খুব একটা সুবিধা হয় না এলাকাবাসীর।

গুসকরার বাসিন্দা শ্যামসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ চাষের উপরে নির্ভরশীল। অনেকে বোরো চাষ করেছেন। গরমে অগ্নিকাণ্ডও অনেক বেশি হয়। তিনি বলেন, ‘‘পানাগড়ের মতো এলাকা থেকে দমকল আসার আগেই সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়।’’ বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র গড়ে তুললে সাধারণ মানুষের খুব সুবিধা হয়।

দমকল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে গুসকরায় একটি দমকল কেন্দ্র তৈরির কথা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে সেই উদ্যোগ থমকে রয়েছে। সেটি তৈরি হলে সমস্যা অনেকটা মিটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে, জানান দমকলের এক আধিকারিক।

Ambulance Block Fire-bridgate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy