সরকারি নথিতে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার জন্য স্বামীকে নিয়ে বিভিন্ন কার্যালয়ে ঘুরছেন কালনার এক মহিলা। প্রায় ৩৮ বছর বয়সি, শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জাপট এলাকার অপর্ণা কর্মকার নামে ওই মহিলার দাবি, জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার তিনি কালনার মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন, জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। তাঁর শাশুড়ি মিনতি কর্মকার মারা গিয়েছেন। অপর্ণার পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতা পান। বছর খানেক আগে দেখা যায়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভাতা ঢুকছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যয়া, জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে তাঁকে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই থেকে এখনও মেলেনি ভাতা।
তাঁর স্বামী কঙ্কন কর্মকার বলেন, ‘‘এক সরকারি আধিকারিকের পরামর্শে স্ত্রী অন্য ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তবে এখনও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থ পাওয়া যায়নি। সব থেকে বড় কথা, জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে স্ত্রীর নাম এখনও মৃত দেখানো রয়েছে।’’ তিনি জানান, সমস্যা সমাধানের জন্য স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে গিয়েছেন তিনি। অনেকে বিষয়টি জানার পরে হাসাহাসি করেছেন। সমস্যা সমাধানে মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।
কর্মকার পরিবারের সমস্যার কথা জানেন কালনার পুরপ্রতিনিধি সুনীল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘ সমস্যাটি মহকুমাশাসককে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি ওই দম্পতিকে।’’ কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়ালের বক্তব্য, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। কেন এমন সমস্যা হল, তা তদন্ত করেদেখা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)