গোগলার লস্করবাঁধে নতুন ভবন। —নিজস্ব চিত্র।
জেলার বহু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেরই (আইসিডিএস) এখনও নিজস্ব ভবন নেই। কোথাও অর্থের অভাবে, কোথাও জায়গার অভাবে খোলা আকাশের নীচে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেন্দ্রের কাজ চালাতে বাধ্য হন কর্মীরা। ফল ভুগতে হয় খুদে পড়ুয়া, প্রসূতিদের। সমস্যা মেটাতে একশো দিনের প্রকল্পকে হাতিয়ার করেছে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক। গোগলা পঞ্চায়েত এলাকায় ওই প্রকল্পে তৈরি করা হয়েছে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। বুধবার ওই এলাকায় সেটি-সহ দু’টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। বিডিও শুভ সিংহরায় বলেন, ‘‘একশো দিনের প্রকল্পে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ এটাই প্রথম।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ৯ হাজারের কিছু বেশি। তার মধ্যে প্রায় চার হাজারের নিজস্ব ভবন নেই। সেগুলির কিছু চলে ভাড়া বাড়িতে, কিছু প্রাথমিক স্কুলে। প্রায় দেড় হাজার কেন্দ্র চলে ব্যক্তিগত জায়গায়। জেলা আইসিডিএস দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জমির অভাব একটা বড় সমস্যা। তবে জমি পেলেই যে দ্রুত নিজস্ব ভবন গড়ে তোলা সম্ভব, তা নয়। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ আসতে সময় লাগে। শিশু ও প্রসূতিদের জন্য পরিপূরক পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় কেন্দ্রগুলি থেকে। সাধারণত খিচুড়ি ও ডিম দেওয়া হয়। কিন্তু খোলা আকাশের নীচে বা স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে সেই উদ্দেশ্য কতটা সফল হয়, সে নিয়ে বারবারই প্রশ্ন ওঠে।
দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের গোগলা পঞ্চায়েতের লস্করবাঁধে এ দিন দু’টি কেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক। একই সঙ্গে তিনি একটি ইকো পার্ক, বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করেন। আইসিডিএসের নতুন ভবন পেয়ে কচিকাঁচা থেকে তাদের অভিভাবক, সবাই খুশি। বিডিও জানান, একশো দিনের প্রকল্পে ভবন নির্মাণ করায় অনেকে যেমন কাজ পেয়েছেন, তেমনই আইসিডিএসের বাড়ির সমস্যাও মিটে গিয়েছে। অনুষ্ঠানে ছিলেন মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy