পুরভোটের আগে আয়োজিত হল রবিবার দুর্গাপুরে কংগ্রেসের প্রথম নির্বাচনী বৈঠক। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের একাংশের দাবি, সেই বৈঠকে তাঁরা যোগ দেননি। অথচ এসেছিলেন সম্প্রতি তৃণমূল ভবনে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা নেতা। ওই প্রবীণ নেতাদের অভিযোগ, দুর্গাপুরে দল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চালানো হচ্ছে না।
এ দিন বেনাচিতির পাঁচমাথা মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি (শিল্পাঞ্চল) দেবেশ চক্রবর্তী। সেই বৈঠকেই যোগ দেন, দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের নির্বাচনী এজেন্ট রিন্টু পাঁজা। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে যোগ দেননি দলের দীর্ঘ দিনের নেতা বিকাশ ঘটক, উমাপদ দাস, তরুণ রায়েরা।
এই ঘটনার পরেই চাপানউতোর শুরু হয় কংগ্রেসের অন্দরে। কারণ, কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেবেন কি না, সে নিয়ে শহরে জল্পনা চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। বিধায়ক বিশ্বনাথবাবু দলের প্রাথমিক সদস্যপদ নবীকরণ না করানোয় সেই জল্পনা আরও বাড়ে। তারই মধ্যে রিন্টুবাবু ও অন্য আরও এক অনুগামীকে নিয়ে বিশ্বনাথবাবু কলকাতায় তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। তাঁদের ১৪টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে কাজকর্ম শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে এই দাবি স্বীকার করেননি অরূপবাবু।
এই পরিস্থিততে রিন্টুবাবুকে কেন বৈঠকে ডাকা হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশ। উমাপদবাবু বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলীয় সংগঠন চলছে না। উটকো লোকদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’’
যদিও দেবেশবাবু জানান, তিনি বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু এসেছিলেন রিন্টুবাবু। দেবেশবাবু বলেন, ‘‘আমি বিধায়কের নির্বাচনী এজেন্টকে বৈঠকে না থাকার জন্য বলি। কারণ তাঁকে বৈঠকে ডাকা হয়নি।’’ এর পরেই চলে যান রিন্টুবাবু। প্রবীণ নেতাদের নিয়ে দ্রুত ফের বৈঠক হবে বলেও দাবি দেবেশবাবুর। গোটা ঘটনা নিয়ে রিন্টুবাবুর যদিও বক্তব্য, ‘‘আমি তৃণমূলেই রয়েছি। বৈঠকে নয়, দেবেশবাবুর সঙ্গে দেখা করতেই কংগ্রেস অফিসে গিয়েছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy