আইন না বুঝে মামলা রুজু করায় তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা করলেন বর্ধমান আদালতের সিজেএম সঞ্জয়রঞ্জন পাল। জামিন পেয়ে গেলেন অভিযুক্তদেরও।
গলসি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটপাড়া গ্রামের এক তরুণী অভিযোগ করেন, বছর খানেক ধরে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছে শেখ নাজমুল ওরফে টোটন নামে এক যুবক। আরও অভিযোগ, রবিবার বিকেলে ওই তরুণীকে জাগুলিপাড়া গ্রামে নিয়ে গিয়ে ফের সহবাস করে নাজমুল। পরে নাজমুলের এক বন্ধু ওই তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। অভিযোগ, তখনই নাজমুল ওই তরুণীকে জানিয়ে দেয়, সে বিবাহিত। এরপরেই গ্রামের লোকজন নাজমুল ও তার বন্ধুকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মঙ্গলবার ধৃত দু’জনকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। সেখানেই সরকারি ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল শুনে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা সওয়ালে দাবি করেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া ‘স্বামী পরিচয়ে সহবাসে’র ধারায় মামলা দায়ের করা যায় না। আদালত কক্ষেই তদন্তকারী অফিসার তপনকুমার কার্ফাকে আইন মেনে কাজ করার কথা বলেন আইনজীবী। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা জানান, জামিনের নির্দেশে দেওয়ার সময়ে বিচারক মন্তব্য করেছেন, ‘‘কী ভাবে এই ধারায় মামলা রুজু হল, তা বোধগম্য হচ্ছে না।’’ বর্ধমান আদালতের এক প্রবীণ আইনজীবীর বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে পুলিশের ধর্ষণের ধারায় মামলা দায়ের করা উচিত ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy