Advertisement
E-Paper

এটা দিল্লি বা গুজরাত নয়, যে গুলি মারলে ছেড়ে দেব: অনুব্রত

এ দিন মঙ্গলকোটের কাশেমনগর ফুটবল ময়দানে এনআরসি এবং সিএএ বিরোধী সভার আয়োজন করে তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২০ ০২:০৮
মঙ্গলকোটের সভায়। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলকোটের সভায়। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির সভার পথে ‘গোলি মারো’ স্লোগান ওঠা নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার মঙ্গলকোটে এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘এটা দিল্লি বা গুজরাত নয়, যে গুলি মারলে মানুষ ছেড়ে দেবে। এক বার মেরেই দেখুক না। সাধারণ মানুষ জবাব দেবে।’’ সেই সঙ্গে কেউ নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তা না দেখানোর পরামর্শও দেন তিনি।

এ দিন মঙ্গলকোটের কাশেমনগর ফুটবল ময়দানে এনআরসি এবং সিএএ বিরোধী সভার আয়োজন করে তৃণমূল। দলের মঙ্গলকোটের পর্যবেক্ষক অনুব্রত ছাড়াও ছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী, দলের বীরভূমের নেতা রানা সিংহ, অসিত মালেরা। সভায় অনুব্রত দিল্লিতে অশান্তির ঘটনা নিয়ে সরব হন। বিজেপির ইন্ধনে ওই ঘটনা ঘটেছে দাবি করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপির কাজই গোটা দেশে আগুন লাগানো। গুজরাতে জ্বালিয়েছে, দিল্লিতেও জ্বালাল। কত নিরীহ মানুষের প্রাণ গেল! ওরা চাইছে আমাদের বাংলাতেও আগুন জ্বালাতে। আমরা থাকতে তা হতে দেব না।’’

নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং এনআরসি নিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে এই বাংলা থেকে কাউকে চলে যেতে হবে না। আমরা কোনও মতেই এনআরসি হতে দেব না।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘যদি কেউ কাগজ দেখতে আসে, যদি কেউ এনআরসি নিয়ে বোঝাতে আসে, তখনই চাবকে দেবেন। ভয় পাবেন না। আমরা সঙ্গে রয়েছি।’’ এ দিন অনুব্রত রেশন ডিলারদের উদ্দেশ্যে স্বচ্ছ ভাবে পরিষেবা দেওয়া ও সরকারি নিয়ম মেনে রেশন বণ্টণের আর্জিও জানান।

অনুব্রতর মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির পূর্ব বর্ধমানের সভাপতি (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যিনি নিজে এক সময়ে পুলিশের গাড়িতে বোমা ছোড়ার মতো নিদান দিয়েছিলেন, তাঁর মুখে এ সব কথা মানায় না।’’

Anubrata Mondal TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy