Advertisement
E-Paper

বার্নপুর থেকে দ্রুত উড়ান চালুর আর্জি

১৯৮০-র গোড়া পর্যন্ত এখানে ইস্কোর নিজস্ব দু’টি বিমান নিয়মিত ওঠানাম করেছে। তার পরে, বহু বছর অব্যবহৃত ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:০১
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

দ্রুত উড়ান পরিষেবা চালু হোক বার্নপুরে ইস্কোর কালাঝরিয়া বিমানবন্দর থেকে। এই মর্মে আবেদন জানিয়ে অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর ও এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে (এএআই) টুইট করেছেন ‘পশ্চিম বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স’-এর সভাপতি পবন গুটগুটিয়া।

এই বিমানবন্দরটি ইস্কোর নিজস্ব। ১৯৮০-র গোড়া পর্যন্ত এখানে ইস্কোর নিজস্ব দু’টি বিমান নিয়মিত ওঠানাম করেছে। তার পরে, বহু বছর অব্যবহৃত ছিল। ২০০৭-এ কারখানার আধুনিকীকরণ প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনোমোহন সিংহের তিনটি হেলিকপ্টার এখানে নেমেছিল। তার পরে আর এটির কোনও ব্যবহার হয়নি। ২০১৬-য় ইস্কো ও এয়ারপোর্ট অথরিটির মধ্যে এখান থেকে বাণিজ্যিক ভাবে আঞ্চলিক কিছু উড়ান চালু করার বিষয়ে চুক্তি হয়। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের ‘রিজিওনাল কানেকটিভিটি উড়ান স্কিম’-এ রাঁচী-ভুবনেশ্বর, কলকাতা-রৌরকেলা ও জামশেদপুরের মধ্যে উড়ানগুলি যাতায়াত করবে বলে ঠিক হয়।

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-র মধ্যে সব কাজ শেষ করে উড়ান পরিষেবা চালু করার কথা ছিল। কিন্তু আজও তা হয়নি। কবে হবে তা-ও নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেউ। এই পরিস্থিতিতে পবনবাবু বলেন, ‘‘দু’বছর আগে এখান থেকে উড়ান চালুর কথা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা শুরু হয়নি। এই অবস্থায় শিল্পোদ্যোগীদের এখানে যাওয়া-আসা করতে অনেক সময় লাগছে। এতে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।’’

ইস্কো কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। যেমন, তৈরি করা হয়েছে প্রায় ১,২০০ মিটার রানওয়ে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী প্রতীক্ষালয়, বিমান রাখার ‘হ্যাঙ্গার’, সীমানা পাঁচিল ইত্যাদিও তৈরি করা হয়েছে।কিন্তু তার পরেও কেন এখনও চালু করা যায়নি উড়ান? ইস্কো-র শহর বিভাগের জিএম ভাস্কর কুমার জানান, বিমানবন্দরটির আশপাশে শতাধিক উঁচু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি আছে। কয়েকটি মোবাইল টাওয়ারও আছে। নিরাপত্তার জন্য সেগুলি সরাতে হবে। ভাস্করবাবু বলেন, ‘‘এই কাজগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করা হচ্ছে।’’

মহকুমাশাসক (আসানসোল) দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, গাছের মালিকদের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে সেগুলি কাটার দায়িত্ব ইস্কো কর্তৃপক্ষের। বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর বিকল্প জমি খোঁজা হচ্ছে। মোবাইল টাওয়ারগুলি যে-যে সংস্থার, সেগুলিকেও পদক্ষেপ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পরিকাঠামোগত যাবতীয় উন্নয়নের কাজ করবে ইস্কো। উড়ান চলাচলের কারিগরি দায়িত্ব পালন করবে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। বাকি বন্দরের নিরাপত্তা, অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।

Burnpur Airport
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy