প্রতীকী চিত্র।
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কালনা ১ ব্লকের এক আধিকারিক। বর্ধমানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। এ দিকে, কালনা শহরে আংশিক ‘লকডাউন’ উঠে যেতেই বেপরোয়া ঘোরাফেরা, স্বাস্থ্য-বিধি না মানার অভিযোগ উঠছে।
শুক্রবার ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত আধিকারিক, কর্মীদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল আটঘোরিয়া-সিমলন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কালনা ১-এর বিএমওএইচ শেখ নুরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে চলছিল ‘র্যাপিড টেস্ট’। সেখানেই ওই আধিকারিকের করোনা ধরা পড়ে। বিকেলে ব্লক অফিস জীবাণুমুক্ত করা হয়। বিডিও শ্রেবন্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে বর্ধমানের একটি হাসপাতালে। ওঁর লালারসের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’’ ওই আধিকারিকের সংস্পর্শে আসা আধিকারিক, কর্মীদের আপাতত বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। তবে ওই দফতরের বাকিদের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে বলে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিনই পূর্বস্থলী ১ ব্লকের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সমুদ্রগড় শাখার দুই কর্মীর করোনা রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসায় ব্যাঙ্কের ওই শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে যাবতীয় কাজকর্ম। এই ক’দিন ব্যাঙ্ক নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হবে। আক্রান্তদের বর্ধমান এবং কলকাতার কোভিড-হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
কালনা শহরের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ৩১ অগস্ট আংশিক লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকেই বাজার, চায়ের দোকান, মিষ্টির দোকানে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলিও স্বাস্থ্য-বিধি না মেনে পরপর কর্মসূচি করছে বলে অভিযোগ। এতে শহরে ফের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারই শহরে নতুন করে পাঁচ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরীক্ষার জন্য শিবির খোলা হলেও সেখানে যাওয়ায় অনীহা রয়েছে সাধারণ মানুষের। কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘অঘোরনাথ পার্কে শিবির চলছে। হাসপাতালে নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খুব কম মানুষ আসছেন।’’ সচেতন না হলে বিপদ বাড়তে পারে, দাবি তাঁর।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy