Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

অনিয়ম সন্দেহে ভর্তির প্রক্রিয়া পিছোল বিএডে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে

বিএড-সংক্রান্ত ভর্তিতে কলেজগুলি (‌সেল্ফ ফিনান্স) নিয়ম মেনেছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত পিছিয়ে দিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১৭
Share: Save:

বিএড-সংক্রান্ত ভর্তিতে কলেজগুলি (‌সেল্ফ ফিনান্স) নিয়ম মেনেছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত পিছিয়ে দিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি। সোমবার কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যে ৭০টি কলেজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ‘ভুল স্বীকার’ করে মুচলেকা দিয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে ভর্তি নিয়েছে কি না দেখার জন্য পরীক্ষা নিয়ামক দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যে সব পড়ুয়াকে ঠিক ভাবে ভর্তি নেওয়া হয়েছে, তাঁদের নামের তালিকা পরীক্ষা নিয়ামক দফতর পরে প্রকাশ করবে।

দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও হুগলি জেলায় ১৪৮টি বিএড (‌সেল্ফ ফিনান্স) কলেজ রয়েছে। অভিযোগ, এ বছর শুরু থেকেই ভর্তি নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে হাতে গোনা কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে। ১০ শতাংশ ‘ম্যনেজমেন্ট কোটা’ থাকলেও বাস্তবে সেখানে ৮০-৮৫ শতাংশকে পড়ুয়াকে ভর্তি নিয়েছে কলেজগুলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মানা হয়নি দাবি করে টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদ আগে সরব হয়েছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করে, পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে কলেজগুলি ‘ভুল স্বীকার’ করে মুচলেকা দেবে। সেখানে ‘সামনের বছরগুলিতে এ রকম ভুল হবে না’ বলে লিখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সেই নির্দেশ মেনে ৭০টি কলেজ মুচলেকা জমা দেয়। কর্মসমিতির বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্তও হয়। পরে বাকি কলেজগুলি মুচলেকা দিলেও আপাতত তা ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন না কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘১৫ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যতের কথা ভেবে কলেজগুলিকে এ বারের মতো ছাড় দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন কর্মসমিতির সদস্যেরা। কিন্তু কলেজগুলির পাঠানো ভর্তির তালিকা (এনরোলমেন্ট) দেখে আমাদের চোখ কপালে উঠেছে। বেশিরভাগ কলেজেই দেখা যাচ্ছে, অন্য রাজ্যের পড়ুয়াদের ভিড়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং এনসিটিই-র নিয়ম মেনে ভর্তি করানো হয়েছে কি না, তা দেখা হবে।’’ তিনি জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ামক দফতরকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।

কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি দিয়ে ছাত্র সংসদের নেতারা কলেজগুলির বিরুদ্ধে ভর্তি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন। সোমবার কর্মসমিতির বৈঠকে ফের চিঠি দিয়ে একই অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, অনলাইনে ফর্ম জমা দিয়েও অনেকে ভর্তি হতে পাচ্ছেন না। অথচ, কলেজগুলি সরাসরি ভর্তি নিয়েছে। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই কলেজগুলি ভর্তি নিতে শুরু করেছিল। টাকা না মেধা— কীসের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা।

এত দিনে প্রথম সেমেস্টার শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় সেমেস্টার হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও শেষ হল না ভর্তি-প্রক্রিয়াই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

The University of Burdwan B.Ed Admission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE