বছরের অন্য সময়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে ফি দিন অন্তত ১০ হাজার রোগী আসেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ডাক্তারেরা মাত্র দেড় হাজার রোগী দেখেছেন, খবর হাসপাতাল সূত্রে। এই পরিস্থিতিতে ‘ভিড়’ বাড়ছে খোসবাগানে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বার ও বিভিন্ন নার্সিংহোমে। এই ‘সুযোগ’কে কাজে লাগিয়ে হাসপাতাল চত্বর থেকে রোগীদের নার্সিংহোমে নিয়ে যাচ্ছে দালালেরা, অভিযোগ রোগীর পরিজনদের একাংশের।
বর্ধমান মেডিক্যালে ‘দালাল-দৌরাত্ম্য’ নতুন নয়। মাঝেসাঝে পুলিশের হাতে দালালেরা ধরাও পড়ে। তবে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে পুলিশের নজরদারির জন্যে দালালদের হাসপাতালে দেখা মিলছিল না। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে ফের ওই দালালদের দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, ওই সব দালালেরা সরাসরি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আসছেন না। ওই সব দালালদের হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ঢোকার মুখের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে বলে জানা যায়।
এনআরএস-কাণ্ডের জেরে মেডিক্যালে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, রোগীদের এ কথা জানিয়ে তাঁদের নার্সিংহোমে নিয়ে যাচ্ছে ওই দালালেরা, জানান রোগীর পরিজনেরা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা এক কর্মীর কথায়, “গত কয়েক দিনে বেশ কয়েক জন দালালকে ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করেছি। এ বার তাঁদের দেখতে পেলেই ধরা হবে।’’ খোসবাগানের এক নার্সিংহোমের অন্যতম অধিকর্তারও দাবি, “মেডিক্যাল কলেজ থেকে রোগী ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে জিটি রোডের ধারে বেশ কিছু নার্সিংহোমের। সুযোগ বুঝে কেউ কেউ পরিস্থিতি কাজে লাগাচ্ছেন। তবে মেডিক্যাল কলেজের অচলাবস্থার প্রভাব খোসবাগানের অধিকাংশ নার্সিংহোমেই পড়েনি।’’