Advertisement
E-Paper

ফের মনোনয়নে নিরাপত্তার দাবি

শুক্রবার হাইকোর্টের রায়ের পরেই বিরোধী শিবির আশা দেখেছিল। সে দিনই তারা নতুন করে মনোনয়নের জন্য ঝাঁপানোর ইঙ্গিত দেয়। তবে সেই সঙ্গে শাসকদলের সন্ত্রাস ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও অভিযোগ তোলে তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০১:০৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মনোনয়ন জমা করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিরোধীরা। কাল, সোমবার ফের একপ্রস্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে, শনিবার বিকেলে এই খবর পেয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। আগের পর্বে যে সব আসনে তারা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি, সেগুলিতে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নানা দলের নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার হাইকোর্টের রায়ের পরেই বিরোধী শিবির আশা দেখেছিল। সে দিনই তারা নতুন করে মনোনয়নের জন্য ঝাঁপানোর ইঙ্গিত দেয়। তবে সেই সঙ্গে শাসকদলের সন্ত্রাস ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও অভিযোগ তোলে তারা। শনিবার মনোনয়নের জন্য আর এক দিন বেড়েছে শোনার পরেও সেই একই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলগুলির নেতারা।

এ দিন বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই অভিযোগ করেন, ৯ এপ্রিল দুর্গাপুর ও আসানসোলে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে তাঁদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হন। পুলিশের সামনে এ সব ঘটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁর দাবি। লক্ষ্মণবাবুর কথায়, ‘‘সোমবারও মনোনয়ন ঘিরে শাসকদলের দাপাদাপি থাকবে বলে আমরা মনে করছি। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ দলের নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, ‘‘মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আগের বারের মতো বাধা পেলে ছেড়ে কথা বলব না।’’

একই মত সিপিএমেরও। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য বংশগোপাল চৌধুরীর দাবি, হাইকোর্টের চাপে নতিস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বার যে সব প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন, তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত পুলিশ-প্রশাসনের। সিপিএম নেতারা জানান, কমিশনের বিজ্ঞপ্তির আগেই তাঁরা প্রস্তুতি শুরু করেছেন। দলের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার, ‘‘সন্ত্রাস সত্ত্বেও বহু আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া গিয়েছে। এ বার বাকিগুলিতে দেওয়া হবে। তবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’’

কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন। কিন্তু নিরাপত্তা না থাকলে কমিশনের সিদ্ধান্তই সার হবে।’’ বিরোধী নেতাদের দাবি, আগে যে আসনগুলিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী কেউ দেয়নি, সেখানে বিরোধীরা এ বার প্রার্থী দিতে গেলে বেশি বাধা আসবে। আজ, রবিবার থেকেই হামলা-হুমকি শুরু হয়ে যাবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন অবশ্য সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের কোনও ভাবনা নেই। কারণ, বিরোধীরা নতুন করে প্রার্থী দেওয়ার লোকই খুঁজে পাবে না।’’ দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘প্রার্থী না পেয়ে আমাদের মিথ্যা দোষারোপ করে বিরোধীরা। ভোটেই প্রমাণ হবে, মানুষ কার সঙ্গে আছেন।’’

West Bengal Panchayat Election 2018 Oppositions nomination security
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy