তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফের সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করেন, বেআইনি কয়লা ও বালি কারবারের। যদিও শুভেন্দুর মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি জেলা তৃণমূল।
শুক্রবার নতুন এগারায় বিজেপি যুব মোর্চার আসানসোল সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অভীককুমার মণ্ডলদের ‘সংকল্প রামরাজ’ পুজো উপলক্ষে জনসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে বলেন, “আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বরে অবৈধ খননের জেরে মাটির নীচে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। যে কোনও সময় ধসে পড়বে। বৈধর থেকে দশগুণ অবৈধ খনি রয়েছে।” তাঁর দাবি, “কিছু দিন কয়লা চুরি বন্ধ ছিল। ৩ জানুয়ারি থেকে আবার রমরমা কারবার শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে নদী এবং আসানসোলে অজয় ও দামোদর নদে বালি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলার মতো বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিবেশ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এ নিয়ে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক (অগ্নিমিত্রা) লাগাতার আন্দোলন করছেন।”
এই মন্তব্যের সূত্রে সিপিএমের রাজ্য সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, “কয়লা ও বালি চুরি কখনও বন্ধ হয়নি। বরং কখনও বাড়ে, কখনও কমে।” ইসিএলের ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) নীলাদ্রি রায় জানান, এটা একটা আর্থ-সামাজিক সমস্যায় দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে ইসিএল নিজস্ব ‘লিজ় হোল্ড’ এলাকায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়লা চুরি আটকানোর সব রকম চেষ্টা করছে। তবে অধিবাসী এবং জনপ্রতিনিধিদের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে এটা আটকানো মুশকিল।
এ দিকে, সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, “আসানসোল শিল্পাঞ্চলের এক ঠিকাদার জসিম উদ্দিন, বীরভূমের অনুব্রতদের সমস্ত অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁরা কোনও টাকা তুলতে পারছেন না। মলয় ঘটক ও তাঁর আত্ম সহায়ক কতবার ঘুরে এসেছেন, সে খবর জানতে হবে। তা হলেই বোঝা যাবে ইডি ও সিবিআইয়ের প্রভাব কতটা কাজ করছে।” পাশাপাশি, দুর্গাপুরে ২০১৭-য় পুরসভা নির্বাচনে ভোট লুটের অভিযোগ করেনছেন শুভেন্দু। তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শুধু বলেন, “কয়লা ও বালি চুরি বন্ধ করতে পুলিশ-প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। তাই একের পর এক গ্রেফতারও হচ্ছে।” তাঁর দাবি, বর্তমানে কোথাও এমন অবৈধ কারবার চলছে না। শুভেন্দুর মতো নেতারা মাঝে মাঝে এ সব মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচারে থাকতে চান।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)