Advertisement
০২ মে ২০২৪

জলমগ্ন এলাকা দেখতে গিয়ে মার

কয়েক দিন আগে, এই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তৃণমূলের একাংশের কাছে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু, জামালপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী নমিতা রায়েরাও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ০১:৫১
Share: Save:

জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হলেন বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক-সহ ১০ জন। বুধবার সন্ধ্যায় জামালপুরের অমরপুরের ঘটনা। কয়েক দিন আগে, এই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তৃণমূলের একাংশের কাছে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু, জামালপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী নমিতা রায়েরাও।

বিজেপির অভিযোগ, লাঠি দিয়ে দশ জনকে পিটিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকজনের হাত ভেঙে গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির জন্য এলাকায় জনরোষ তৈরি হয়েছিল। বিজেপির তরফে এ দিন জামালপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। আজ, বারো ঘন্টা জামালপুর ব্লক বন্‌ধ ডেকেছে বিজেপি।

বিজেপির পূর্ব বর্ধমানের পর্যবেক্ষক অনল বিশ্বাসের অভিযোগ, “আমরা দামোদর পেরিয়ে সবে পাড়ে দাঁড়িয়েছি। আচমকা দলীয় পতাকা হাতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে। আমরা এগোতেই লাঠি হাতে ঘিরে ধরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর মার বলে মার!” তিনি বলেন, “আজকের ঘটনায় প্রমাণিত, দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোও যাবে না।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিজেপির ওই প্রতিনিধি দলের দামোদর পাড়ের অমরপুর-শিয়ালি গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, আগে থেকেই দলের কর্মীদের সংগঠিত করে রেখেছিল তৃণমূল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতার দাবি, “বানভাসি মানুষজন ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ দেখায়নি। সভাতিপতির কাছেও না, বিজেপির কাছেও না। অর্থাৎ দুটি ক্ষেত্রেই সুপরিকল্পিত ভাবে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। দলের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।”

হামলার পরে জখমদের জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’জনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

বিজেপির জেলা সভাপতি (বর্ধমান) সন্দীপ নন্দীর দাবি, “ওই এলাকায় আমাদের কর্মীরা জলে ভাসছিল। ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার মানুষজনকে দেখতে গিয়ে আমাদের আক্রান্ত হতে হল।”

যদিও জামালপুর ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ পালের পাল্টা দাবি, “এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির জন্য গ্রামবাসীদের ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE