E-Paper

বৃষ্টিতে বিঘ্ন খনির কাজে,খানিক প্রভাব ধর্মঘটেরও

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫ ০৮:২১
নিয়ামতপুরে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে মীনাক্ষী।

নিয়ামতপুরে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে মীনাক্ষী। নিজস্ব চিত্র।

টানা বৃষ্টির কারণে দিন পাঁচেক ধরে কয়লা উত্তোলন প্রায় অর্ধেকে ঠেকেছে। তার উপরে, বুধবার নানা কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটেরও খানিক প্রভাব পড়ল কিছু খনির উৎপাদনে, দাবি ইসিএল সূত্রের। সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্ষায় উৎপাদন কমে যাওয়ায় গত পাঁচ দিনে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার অধীনে ১৩টি এরিয়ার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে দশটি এরিয়ায় ৫৩টি ভূগর্ভস্থ এবং ১৬টি খোলা মুখখনি আছে। এ ছাড়া, ঝাড়খণ্ডে বাকি তিনটি এরিয়ায় মধ্যে মোগমা এরিয়ায় ছ’টি ভূগর্ভস্থ এবং অন্য দু’টি এরিয়ায়১০টি খোলামুখ খনি আছে। দৈনিক সামগ্রিক ১ লক্ষ ৩০ হাজার টন কয়লা উত্তোলন হয়। এর মধ্যে এক লক্ষ টনের বেশি খোলামুখ খনির উৎপাদন। পাঁচ দিন টানা বর্ষণের কারণে খোলামুখ খনিগুলিতে কয়লা উত্তোলন অর্ধেকে নেমে এসেছে। বুধবার, ধর্মঘটের দিনও সে রকমই পরিস্থিতি ছিল বলে ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানান। তাঁদের দাবি, খোলামুখ খনিতে দিনে অর্ধেকের বেশি (৫০ হাজার টন) উত্তোলন না হওয়ায়, দৈনিক প্রায় ১৫ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

খনি সূত্রে জানা যায়, এ দিন ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে মোগমা এরিয়ার ছ’টি ভূগর্ভস্থ খনিতে। কার্যত কোনও কাজ হয়নি সেখানে। তার ফলে, ওই ভূগর্ভস্থ খনিগুলি থেকে এ দিন প্রায় ছ’হাজার টন কয়লা উত্তোলন হয়নি।‌ এ রাজ্যের দু’একটি ভূগর্ভস্থ খনিতে ধর্মঘটের সামান্য প্রভাব পড়েছেবলে দাবি।

সিটু নেতা গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, আইএনটিইউসি নেতা চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়েরা দাবি করেন, ঝাড়খণ্ডের তিনটি এরিয়াতেই কোনও কাজ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে দশটির বেশি ভূগর্ভস্থ খনিতে কাজ বন্ধ ছিল। তাতে উৎপাদনে ৪০ শতাংশের বেশি প্রভাব পড়েছে। ৩০ শতাংশ কর্মী অনুপস্থিতি ছিলেন। তৃণমূল প্রভাবিত খনি শ্রমিক সংগঠন কেকেএসসি-র সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিংহের পাল্টা দাবি, এ রাজ্যে সব খনিতে উপস্থিতি ও উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল।

ইসিএলের ডিরেক্টর টেকনিক্যাল (অপারেশন) নীলাদ্রি রায় জানান, মোগমা এরিয়ায় সম্পূর্ণ এবং এ রাজ্যে দু’একটি খনিতে সামান্য প্রভাব পড়েছে। তবে বর্ষার কারণে পাঁচ দিনে খোলামুখ খনিতে প্রায় অর্ধেক‌ উৎপাদন না হ‌ওয়ায়, ক্ষতির পরিমাণ ৭৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Raniganj

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy