Advertisement
০৪ মে ২০২৪

সাত বছর পড়ে ভবন,সংস্কার হাসপাতালে

প্রশাসন জানায়, ওই গ্রামে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাস। অসুখ হলে গ্রামবাসীদের ভরসা, প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের কেলোজোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। রাতবিরেতে অ্যাম্বুল্যান্স বা গাড়ি না মেলায় রোগীদের খাটিয়ায় করে নিয়ে যেতে হয় বলে জানান বাসিন্দারা।

দোমহানির সেই ভবন। নিজস্ব চিত্র

দোমহানির সেই ভবন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৪০
Share: Save:

হাসপাতালের জন্য ভবন তৈরি হয়েছিল সাত বছর আগে। কিন্তু তার পরেও স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসক নয়, বরং ওই ভবনে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা শুরু হয় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। হাসপাতাল ভবনের জমিটিও ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান জমিদাতা। বাসিন্দাদের কাছ থেকে নানা অভিযোগ পেয়ে শেষমেশ প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বারাবনির দোমহানি পঞ্চায়েতের ডাঙ্গা গ্রামে হাসপাতালটি দ্রুত চালু করা হবে। এর জন্য হাসপাতাল ভবনটির সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে।

প্রশাসন জানায়, ওই গ্রামে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাস। অসুখ হলে গ্রামবাসীদের ভরসা, প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের কেলোজোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। রাতবিরেতে অ্যাম্বুল্যান্স বা গাড়ি না মেলায় রোগীদের খাটিয়ায় করে নিয়ে যেতে হয় বলে জানান বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে গ্রাম লাগোয়া এলাকায় হাসপাতালের দাবি জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। তাতে প্রশাসন সহমত হলেও, সমস্যা বাধে জমি নিয়ে। শেষমেশ কলকাতা পোর্টট্রাস্টের প্রাক্তন কর্মী শশাঙ্কশেখর সিংহ প্রায় ৪১ কাঠা জমি দান করেন। ২০১০ সালে সেই জমিতেই ভবন তৈরি করে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)। ওই বছর ১০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে হাসপাতাল ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছিল।

কিন্তু হাসপাতাল চালু হয়নি। দেখা মেলেনি চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদেরও। উল্টে বন্ধ ভবন অসমাজিক কাজকর্মের ঠেকে পরিণত হয় বলে জানান বাসিন্দারা। সম্প্রতি শশাঙ্কশেখরবাবুও হাসপাতাল চালু না হলে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেনে বিডিও (বারাবনি) অনিমেশ মান্না। প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সীমানা পাঁচিল দেওয়া, বিদ্যুদয়ন, ভাঙা দরজা-জানলা বদলানো-সহ নানা পরিকাঠামোগত সংস্কার হয়েছে ওই ভবনে। বিডিও বলেন, ‘‘বহুদিনের দাবি, হাসপাতালটি চালু হোক। সেই দাবিকেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।’’ বারাবনির স্বাস্থ্য আধিকারিক অনন্যা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখানে ১০ শয্যার হাসপাতাল চালু করা হবে।’’ সম্প্রতি প্রশাসনের কর্তারা হাসপাতাল ভবনটি পরিদর্শনও করেছেন।

দীর্ঘ অপেক্ষার পরে হাসপাতাল চালু হওয়ার তোড়জো়ড় দেখে খুশি জমিদাতাও। শশাঙ্কশেখরবাবু বলেন, ‘‘বহুদিনের আশাপূরণ হতে চলছে।’’ বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুধন বাউড়িরও আশা, হাসপাতালটি চালু হলে এলাকাবাসী সুবিধা পাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Centre Building Hospital Doctor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE