Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টাকার ভাগ নিয়ে পুরনো বিবাদে গুলি 

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও পুরনো বিবাদের জেরেই সম্ভবত কুলটির সীতারামপুর ঢালে গুলি চালিয়েছিল ‘দুষ্কৃতী’রা। রবিবার সন্ধ্যায় গুলি চালানোর ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

এখানেই চলে গুলি। নিজস্ব চিত্র

এখানেই চলে গুলি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৫৭
Share: Save:

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও পুরনো বিবাদের জেরেই সম্ভবত কুলটির সীতারামপুর ঢালে গুলি চালিয়েছিল ‘দুষ্কৃতী’রা। রবিবার সন্ধ্যায় গুলি চালানোর ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

রবিবার কুলটির সীতারামপুর ঢালে এক জনের বাড়িতে এসেছিলেন বিহারের ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা অমিত গুপ্ত। অভিযোগ, অমিতকে লক্ষ করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ধানবাদের বাসিন্দা চিন্তামণি মণ্ডল ও সঞ্জয় মণ্ডল গুলি চালান। ডান হাতে গুলি লাগে অমিতবাবুর। চেষ্টা করেও শেষমেশ ধানবাদের ওই দুই যুবক আর পালাতে পারেননি। তবে এলাকাবাসীদের সঙ্গে ওই দু’জনের গোলমাল বাধে। কয়েক জন এলাকাবাসী জখমও হন। সেই সময়ে ওই দু’জনকে এলাকাবাসীর একাংশ মারধর করেন বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ অমিত, চিন্তামণি ও সঞ্জয়কে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। গ্রেফতার করা হয় চিন্তামণ ও সঞ্জয়কে।

পুলিশ জানায়, ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি রিভলবার মিলেছে। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কয়েক দফায় ধৃত দু’জনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই দু’জন জানিয়েছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিবাদই গোলমালের কারণ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। ওই দু’জন আরও একটু সুস্থ হলে কেন গুলি চালানো হয়েছিল, তা সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে জেরা করা হবে।’’ পুলিশ জানায়, ধৃতদের এক জনকে সোমবারই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কিন্তু কেন এই গোলমাল? কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তিন জনই পূর্ব পরিচিত। মাসখানেক আগে বিহারের কোনও অপরাধের ঘটনায় অমিত, চিন্তামণি ও সঞ্জয়ের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে গোলমাল বাধে। এর পরেই অমিত সীতারামপুর ঢালে এক জনের কাছে আশ্রয় নেন। তবে তা জানতে পারেন চিন্তামণি ও সঞ্জয়।

রবিবার ওই ঘটনার পরে সোমবার সকালেও সীতারামপুর ঢাল এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, পরিবেশ থমথমে। রবিবার যে বাড়িতে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকালেও তা তালাবন্ধ ছিল। ঘটনার কথা জানতে পুলিশ এক যৌনকর্মীকেও জেরা করছে বলে জানা গিয়েছে।

তবে এই পরিস্থিতিতে এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ জুগনু বলেন, ‘‘ভরসন্ধ্যায় গুলি চালানোর ঘটনায় আমরা সবাই আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশ দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bullet Fire Money Share
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE