Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Create panic

আতঙ্ক ছড়াতেই রাতে আগুন গাড়ি-বাইকে, জেরায় জানাল ধৃতেরা, দাবি পুলিশের

দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক মাস ধরে বারবার রাতে মোটরবাইক, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর গভীর রাতে সগরভাঙায় একটি বেসরকারি কারখানার কাছে এক আইএনটিটিইউসি কর্মীর গাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০০:০৩
Share: Save:

পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলতেই রাতের অন্ধকারে নানা বাড়িতে গিয়ে গাড়ি ও মোটরবাইকে আগুন লাগানো হত, প্রাথমিক জেরায় ধৃত দু’জন এ কথা জানিয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। যদিও এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না বা এই চক্রে আর কেউ আছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান তদন্তকারীরা।

দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক মাস ধরে বারবার রাতে মোটরবাইক, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর গভীর রাতে সগরভাঙায় একটি বেসরকারি কারখানার কাছে এক আইএনটিটিইউসি কর্মীর গাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। এক সপ্তাহ পরেই নিউ টাউনশিপ থানার শরৎপল্লিতে এক যুব তৃণমূল নেতার গাড়ি ভস্মীভূত হয়। এর পরে পরপর এমন ঘটনা ঘটে ডিএসপি টাউনশিপের নানা জায়গায়।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বি-জোনের মার্কনি অ্যাভিনিউয়ে একটি আবাসনের গ্যারাজে একটি গাড়ি ও দু’টি মোটরবাইক ভস্মীভূত হয়। সে রাতেই নিউটন রোড এলাকায় একটি আবাসনের গ্যারাজে মোটরবাইক পুড়ে যায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃত্তিবাস নর্থ রোড এলাকায় একটি আবাসনে মোটরবাইকে আগুন ধরে যায়। ১৭ মার্চ আকবর রোডে একটি দামি বাইক ভস্মীভূত হয়। সে রাতেই হর্ষবর্ধন রোডে একটি আবাসনের গ্যারাজে রাখা গাড়ি আংশিক পুড়ে যায়। ২৩ এপ্রিল রাতে কোকআভেন থানার শ্রমিকনগরে একটি বাড়িতে তিনটি স্কুটি পুড়ে যায়। গত ১ অগস্ট ডিএসপি টাউনশিপের এডিসন রোডে একটি আবাসনে দু’টি বাইক ও একটি সাইকেল এবং অন্য একটি আবাসনে একটি বাইক ভস্মীভূত হয়। আংশিক ক্ষতি হয় একটি গাড়ির।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একের পর এক এমন ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল থেকে দু’এক বার প্লাস্টিকের ফাঁকা বোতল, চপ্পল উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েনি। শেষে সোমবার পুলিশ দু’জনকে ধরে। ধৃত ডিএসপি টাউনশিপের বি-জোনের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ পাল ও তারক কর্মকার আগে পুলিশের হয়ে রাতপাহারায় যুক্ত ছিলেন। তাদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জেরা করা শুরু করেছে।

তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ধৃতেরা ৫-৬টি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ ও বাসিন্দাদের বিড়ম্বনায় ফেলতে ও আতঙ্ক ছড়াতেই তারা এই কাজ করেছে বলে জেরায় জানিয়েছে, দাবি পুলিশের। ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আরও একটা দল রয়েছে যারা এই কাজে জড়িত। ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE