—ফাইল চিত্র।
নিখোঁজ নাবালিকার তদন্তে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় সিবিআই। বুধবার রায়নার মাছখাণ্ডা এলাকায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন সদস্য যান। প্রথমে নিখোঁজ নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। পরে এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
গত ৯ অগস্ট রায়না থানা এলাকায় এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। স্থানীয় হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে। অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ সফিকুল ও শেখ জসীমউদ্দিন শেখ নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। খণ্ডঘোষ থানার লতিফপুর ও বাদুলিয়ায় তাঁদের বাড়ি। দু’দফায় সাত দিন তাঁদের হেফাজতে নিয়েও ছাত্রীর হদিস পায়নি পুলিশ। দ্বিতীয় দফার চার দিনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ধৃতদের বুধবার ফের আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের আরও সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান রায়না থানার তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন সিজেএম।
পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বার হয় নাবালিকা। তার পর থেকে তার হদিস মিলছে না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও ছাত্রীর খোঁজ না পেয়ে তার মা ১৭ অগস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কয়েকদিন পর পরিবার জানতে পারে, তাদের মেয়েকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছেন খণ্ডঘোষের লতিপপুর এলাকার সফিকুল শেখ ও বাদুলিয়া এলাকার জসিম শেখ। পরিবারের দাবি, জসিম সকলের সামনে স্বীকার করেছিলেন, সে মেয়েটিকে বাইকে চাপিয়ে স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন সফিকুলের কাছে। পরিবারের আরও দাবি, তারা অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল।
পুলিশের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় প্রথমে সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। পরে কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। আগামী ১৩ মার্চ পরবর্তী শুনানিতে সিবিআইকে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। তার আগে বুধবার গ্রামে গেল তদন্তকারী দল। নাবালিকার দিদিমা মালতী মুর্মু বলেন, ‘‘পুলিশ, সিআইডি তদন্তে করল, কিন্তু আমাদের মেয়েকে পেলাম না। এখন সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। আমরা আমাদের মেয়েকে ফিরে পেতে চাই।’’ মা জয়ন্তী সরেন বলেন, ‘‘আমার মেয়ে বেঁচে আছে না মরে গিয়েছে, কোথায় আছে, কিছুই বুঝতে পারছি না। জানতেও পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy