Advertisement
E-Paper

TMC: তৃণমূল কার্যালয় নির্মাণ ঘিরে ‘কোন্দল’ দুর্গাপুরে

পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করলেও পুলিশের সামনেই সে কাজ চলতে থাকে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:০৬
দুর্গাপুরে।

দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র।

দলীয় কার্যালয় তৈরি করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বাধল বলে অভিযোগ। রবিবার দুর্গাপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিল পার্ক এলাকার ঘটনা। পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করলেও পুলিশের সামনেই সে কাজ চলতে থাকে বলে অভিযোগ। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তৈরির কাজ করছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (আলো) ধর্মেন্দ্র যাদবের অনুগামী বলে পরিচিত কয়েক জন। তাঁদের অভিযোগ, দলেরই কয়েক জন এসে তাঁদের দলীয় কার্যালয় নির্মাণে বাধা দেন। তাঁরা কথা না শোনায় থানায় ফোন করে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সৈয়দ ইসরার আলম সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে বলেন, “আমাদেরই দলের কয়েক জন চাইছেন না, আমরা নতুন দলীয় কার্যালয় গড়ি। অথচ পুরনো দলীয় কার্যালয়ে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ফিরোজ খানের নেতৃত্বে কয়েক জন আমাদের বাধা দিচ্ছেন।” ফিরোজ অবশ্য বলেন, “দলীয় কার্যালয় গড়তে গেলে আমি কেন বাধা দেব? এটা তো দলের বিষয়। আমি ওখানে যাইনি। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।”

ধর্মেন্দ্র অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি। তিনি জানান, গত কয়েক বছরে এলাকায় বসতির সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। নতুন এলাকা হওয়ায় পরিষেবা নিয়ে সমস্যাও বেশি। তাই ২০১৭ সাল থেকে নতুন একটি দলীয় কার্যালয় নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। সেখানে কাউন্সিলর এসে বসবেন। স্থানীয় মানুষও আসবেন। কাজের সুবিধা হবে। তিনি বলেন, “কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দলের নাম করে কেউ কেউ ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে চান। তাঁদেরই কেউ হয়তো পুলিশকে ফোন করেছেন। অশান্তি কিছু হয়নি।”

এ দিকে, যেখানে দলীয় কার্যালয় নির্মাণের কাজ চলছে, সেই জায়গাটি ডিএসপি-র বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ধর্মেন্দ্র বলেন, “ব্যক্তিস্বার্থে ডিএসপি-র জমি ব্যবহার করার বিরুদ্ধে আমি। তবে যেহেতু সার্বিক প্রয়োজনে অস্থায়ী ভাবে দলীয় কার্যালয় গড়া হচ্ছে তাই আপত্তি জানাইনি।” বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করার কথা জানিয়েছেন ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের দুর্গাপুরের পর্যবেক্ষক তথা দুর্গাপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল বলেন, “দলে কোনও কোন্দল নেই। কী ঘটেছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর
করা হবে।”

TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy