Advertisement
E-Paper

‘মা হাসপাতালে’, বাবা বলেছেন ছেলেমেয়েদের

শুক্রবার মাঝরাতে মিরাজের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বাড়ির সঙ্গেই ভূগর্ভে তলিয়ে যান। এই দম্পতির পাঁচ ছেলেমেয়ে।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২০ ০৭:১৮
কখন খোঁজ মিলবে শাহনাজের, তা নিয়ে উদ্বেগে পরিবার। নিজস্ব চিত্র

কখন খোঁজ মিলবে শাহনাজের, তা নিয়ে উদ্বেগে পরিবার। নিজস্ব চিত্র

ঘটনার পরে প্রায় দেড় দিন কেটে গিয়েছে। অণ্ডালের জামবাদে বাড়ি-সহ তলিয়ে যাওয়া মহিলার খোঁজ মেলেনি রবিবার রাত পর্যন্ত। এই পরিস্থিতি উদ্বেগে তাঁর পরিবার। তবে, তাঁর স্বামী মিরাজ শেখ জানান, ছেলেমেয়েদের আপাতত সব কিছু থেকে দূরে রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘মা’কে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।’

শুক্রবার মাঝরাতে মিরাজের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বাড়ির সঙ্গেই ভূগর্ভে তলিয়ে যান। এই দম্পতির পাঁচ ছেলেমেয়ে। বড় মেয়ে সানা ফারিন শেখের বিহারের ভাগলপুরে বিয়ে হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তাঁকে ঘটনার কথা সবিস্তারে জানানো হয়নি বলে জানান মিরাজ।

মিরাজ জানান, মেয়ে শেখ গুলনাজ, শেখ আলিসা, শেখ গুঞ্জা ও ছেলে জিব্রাহিম শেখকে ঘটনার পরে সামলানোটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। গুলনাজ ও আলিসা কলেজের স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। গুঞ্জা একাদশ শ্রেণির ও জিব্রাহিম দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া।

ভাগ্নে-ভাগ্নিদের অবস্থা থেকে মিরাজকে তাঁর শ্যালক মহম্মদ শাহেনশা খান ও সামসের খান পরামর্শ দেন, ছেলেমেয়েদের শাহনাজের মামারবাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। সেই মতো, শনিবার সন্ধ্যাতেই চার ছেলেমেয়েকে পাঠানো হয় রানিগঞ্জের নিমচা পাঠানধাওড়ায়। মিরাজ বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েদের জানিয়েছি, শনিবার রাতে শাহনাজকে উদ্ধার করা গিয়েছে। ওঁর চিকিৎসা চলছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে।’’

কিন্তু কেন এমন বলা? ঘটনাস্থলের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা মিরাজ দাবি করেন, ‘‘ছেলেমেয়েরা খাবার মুখে তুলছিল না। কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। তাই বাধ্য হয়েই এমন কথা বলতে হয়েছে। ওদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দিচ্ছি না এই মুহূর্তে।’’ মিরাজের ফোন থেকেই যোগাযোগ করা গেল তাঁর ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘‘মায়ের চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হয়ে যাবেন।’’— তা শুনে মিরাজও থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকেন। আশা করেন, ‘অলৌকিক’ কিছু একটা ঘটবেই। ‘বোন ফিরবে’, আশায় দুই দাদা শাহেনশা ও সামসেরও।

তবে, এই পরিস্থিতির মধ্যেও পুনর্বাসন না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে উঠেছে পরিবারটি। মিরাজের ফোন থেকে তাঁর ছেলে জিব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, সে বলে, ‘‘এলাকাবাসী অনেক দিন ধরে পুনর্বাসন চেয়ে আন্দোলন করছেন। সেটা পেয়ে গেলে, এই অবস্থা হত না আমাদের।’’

Andal Landslide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy