Advertisement
E-Paper

কেতুগ্রামে মারামারি

দলের পর্যবেক্ষকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়ার ২৪ ঘন্টাও হয়নি, তার মধ্যেই মারামারির ঘটনা ঘটল কেতুগ্রামে। সোমবার রাতে কান্দরা ও মঙ্গলবার ভোরে এহিয়াপুরে দুই গোষ্ঠীর গোলমাল হয়। এক মহিলা-সহ জনা ছয়েক বাসিন্দা আহতও হয়েছেন।

কাটোয়া

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৬ ০০:১৯

দলের পর্যবেক্ষকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়ার ২৪ ঘন্টাও হয়নি, তার মধ্যেই মারামারির ঘটনা ঘটল কেতুগ্রামে। সোমবার রাতে কান্দরা ও মঙ্গলবার ভোরে এহিয়াপুরে দুই গোষ্ঠীর গোলমাল হয়। এক মহিলা-সহ জনা ছয়েক বাসিন্দা আহতও হয়েছেন। মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ন’টা নাগাদ জনা বাইশ দুষ্কৃতী রড, লাঠি নিয়ে চড়াও হয় কান্দরা মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা আমির শেখের উপর। বচসা থেকে শুরু হয় মারপিট। হাত, পায়ে চোট নিয়ে আমির শেখকে প্রথমে কান্দরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শাসক দলের একাংশের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী সাউদ ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীরাই এ কাজ করেছে। এ দিনই আবার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ এহিয়াপুর মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা কাজী গোলাম মোর্তাজা শৌচকর্মের জন্য মাঠে যান। অভিযোগ, তখনই জনা দশেক দুষ্কৃতী এসে তাঁকে বেধড়ক মরধর করে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তাঁর ভাগ্নে দীপন মীর, ভাগ্নি শিল্পা খাতুন, দিদি স্বপ্নাহারা খাতুন ও মেয়ে ববিতা খাতুন। গোলাম মোর্তাজার অভিযোগ, ‘‘আমি দীর্ঘদিন ধরে সাউদ মিঞার দল করি। আজ জাহির শেখের অনুগামী দুষ্কৃতীরা এসে আমায় দল করতে বারণ করে। না শুনলে তখন মারতে শুরু করে।’’ ঘটনায় দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছে দু’পক্ষই। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির শেখ জানান, মিথ্যা অভিযোগ। ওরাই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মদত দিয়ে এ সব করাচ্ছে। পাল্টা সাউদ মিঞা বলেন, কেষ্টদা বলার পরেও ওরা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে।

Clash ketugram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy