দুর্গাপুরে এ ভাবে ব্যানার টাঙানো নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের ব্যানার ঝোলানো হচ্ছে গাছে পেরেক পুঁতে! এর ফলে, গাছের ক্ষতি হবে বলে দাবি পরিবেশপ্রেমীদের। পুরসভার পরিবেশ সচেতনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। দ্রুত ব্যানার সরিয়ে পেরেকগুলি খুলে ফেলার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। দুর্গাপুর পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
পেরেক দিয়ে গাছের গায়ে গর্ত করে বিজ্ঞাপনের বোর্ড লাগানোর রেওয়াজ দুর্গাপুরে দীর্ঘদিনের। বন দফতর এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে বিজ্ঞাপন ও পেরেক খোলার ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ, ফের কিছু দিন পরে আবার শুরু হয়ে যায় গাছের গায়ে পেরেক পুঁতে বিজ্ঞাপন লাগানো। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবে গাছে পেরেক পুঁতে বিজ্ঞাপনের ব্যানার, হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর ফলে গাছের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। রুগ্ণ হয়ে যায় গাছ। বাসিন্দাদের দাবি, লাগাতার পেরেক পোঁতায় শহরের বেশ কিছু গাছ শুকিয়ে মারা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে হাম ও রুবেলা প্রতিরোধে বিশেষ টিকাকরণ অভিযান হবে নতুন বছরের ৯-১১ জানুয়ারি। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সিদের এই টিকা দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরসভার তরফে সেই টিকাকরণের বিষয়ে নানা ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। সে ভাবেই সিটি সেন্টার এলাকায় রাস্তার ধারে গাছে পেরেক পুঁতে ব্যানার লাগানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মিলন বিশ্বাস, তরুণ চক্রবর্তীরা বলেন, “বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা দীর্ঘদিন ধরেই এ ভাবে গাছের ক্ষতি করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এখন পুরসভাও এ ভাবে বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করলে পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।” তাঁরা জানান, দূষণে জেরবার শিল্পনগরীতে গাছের ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না।
স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে থাকা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রাখি তিওয়ারি জানান, বরো কার্যালয়ের মাধ্যমে একটি সংস্থাকে ব্যানার লাগানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সংস্থা এ ভাবে গাছে পেরেক পুঁতে ব্যানার লাগিয়েছে। তিনি বলেন, “দ্রুত পেরেক খোলার ব্যবস্থা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy