বিতর্ক এই অনুষ্ঠান ঘিরেই। রয়েছে বক্স (চিহ্নিত)। নিজস্ব চিত্র
খোদ রাজ্য সরকারের নির্দেশ, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও রকম মাইক, লাউড স্পিকার, বক্স বা বাদ্যযন্ত্র-সহ কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। কিন্তু এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, লাউড স্পিকার ও বক্স বাজিয়ে পথ নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা প্রচারের অনুষ্ঠান করেছে ট্রাফিক পুলিশ। অভিযোগ, সোমবার তা করা হয়েছে উখড়া স্কুল মোড়ে, যেখানে পাশেই রয়েছে কেবি ইনস্টিটিউশন।
ঘটনাচক্রে, প্রকাশ্যে কোনও শব্দ-যন্ত্র দেখলেই, তা বাজেয়াপ্ত করছে পুলিশ। রবিবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ডিজে বাজানো হতেই, তা বাজেয়াপ্ত করে রানিগঞ্জ থানা। অথচ, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে অভিযোগ করেছেন, এ দিন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ট্রাফিক পুলিশ। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক তা চলে। পুরো সময়টা জুড়েই ব্যবহার করা হয়েছে লাউড স্পিকার, বক্স। সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে এসিপি ট্রাফিক (অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর) তাহিদ আনোয়ারকেও। তিনি অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা সোমা দত্তগুপ্ত বলেন, “পথ সচেতনতা প্রচারের বিষয়টি অবশ্যই ভাল। কিন্তু নিয়ম-নীতি সবারই মেনে চলা দরকার।” নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাবার ক্ষোভ, “পুলিশই যদি এমন আচরণ করে, তা হলে বাকিদের আর কিছু বলার থাকে না।”
এ দিকে পুলিশের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠছে যেখানে, সেখানে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়েও রয়েছে কৌতূহল। বিষয়টি নিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (ট্রাফিক) আনন্দ রায় বলেন, “বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করে পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy