দোকানে চড়াও হয়ে গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগ উঠল কেতুগ্রাম থানার আইসির বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন কান্দরা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যেরা। যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দাবি ওই পুলিশ আধিকারিকের।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বৃস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ কেতুগ্রামের আইসি আবু সেলিম কান্দরার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক লাগোয়া মুরগির খাবার ও ডিটারজেন্ট ডিলারের দোকানে চড়াও হন। দোকানের সামনে জটলা দেখে কান্দরা জ্ঞানদা পাড়ার বাসিন্দা, ওই বিক্রেতা চিরঞ্জিত ঘোষের কর্মচারীদের চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। অভিযোগ, চিরঞ্জিতবাবুকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন উনি। শুক্রবার চিরঞ্জিত বাবু বলেন, ‘‘প্রতিবাদ করলে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সামনে আমায় দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আমার গাড়ির চালক সনৎ মাঝিকে চড় মারেন।’’ দোকানে হাজির অন্য এক ক্রেতাকেও গালিগালাজ করা হয় বলে তাঁর দাবি। ওই দিনই ব্যবসার পরিবেশ সুস্থ রাখার দাবি জানিয়ে বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রামরতন সাহার দাবি, ‘‘এর আগেও কারণে-অকারণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন উনি। সমিতির ২৭৫ জন ব্যবসায়ী ওই পুলিশ আধিকারিকের আচরণে ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত।’’ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে টানা ব্যবসা বন্ধ রাখার কথাও বলেন তাঁরা।
কেতুগ্রাম থানায় দায়িত্ব নেওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই ওই আইসির বিরুদ্ধে বিধায়কের উপস্থিতিতে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ জানান তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ নিজে। কেতুগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহের শেখও বিধানসভা ভোটের পর থেকে কিছু তৃণমূল কর্মী ঘরছাড়া থাকার পিছনে আবু সেলিমের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। কেতুগ্রাম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কুড়ি আগে ওই আইসির বদলির নির্দেশ আসার পরেও তা রদ করে দেয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
যদিও আইসির দাবি, ‘‘সবই ভুয়ো। রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের জন্য আমার নামে মিথ্যা কুৎসা করা হচ্ছে।’’ বিডিও অরূপকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। মহকুমাশাসককে জানাব।’’ অভিযোগ পেলে এসডিপিও-র সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy