Advertisement
E-Paper

পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষোভ, বৈঠক মুসলিম হস্টেলে

সুপারের ব্যবহার থেকে খাবারের গুণমান নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ ছিল ওয়াকফ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে থাকা বর্ধমান শহরের বড়বাজার মুসলিম গার্লস হস্টেলের আবাসিকদের। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩২

সুপারের ব্যবহার থেকে খাবারের গুণমান নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ ছিল ওয়াকফ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে থাকা বর্ধমান শহরের বড়বাজার মুসলিম গার্লস হস্টেলের আবাসিকদের। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক, হস্টেল পরিচালন সমিতির সভাপতি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রণব বিশ্বাস একান্তে কথা বললেন আবাসিকদের সঙ্গে। বেশ কিছু সমস্যা মেটানোর পরে পড়ুয়াদের দাবি মেটানোরও আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।

১৯৮৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই হস্টেলটি চালু হয়। থাকেন ৯০ জন পড়ুয়া। নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক আবাসিককে খাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ মাসে ৯০০ টাকা করে দিতে হয়। কিন্তু অনেক সময়েই তা মানা হয় না বলে পড়ুয়াদের দাবি। গলসির বাসিন্দা, মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জেসমিন খাতুনের এ দিন অভিযোগ করেন, “সুপার আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেন না। খাবারের জন্য পর্যাপ্ত টাকাও দেন না।” বীরভূমের সাঁইথিয়ার কলোটিয়া গ্রামের বাসিন্দা, রাজ কলেজের ছাত্রী শাবনা আজমি, ভেদিয়ার ফারহা ইয়াসমিনদেরও অভিযোগ, বিকেল তিনটে বেজে গেলে খুব প্রয়োজন থাকলেও বাড়ি যেতে দেওয়া হয় না। আবার পরিজনরা এলেও আমাদের দেখা করতেদেওয়া হয় না সবসময়। আত্মীয়দের সঙ্গে সুপার বাজে ব্যবহার করেন বলেও তাঁদের দাবি। কালনার বাসিন্দা, তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া খাদিজা খাতুনও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন, “হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীরা জানেই না, আমরা ঘরে আছি না বাইরে! ফলে, পরিবারের লোকেরা এলে হয়রানির শিকার হন।” আবাসিকদের দাবি, এই সব দাবি নিয়ে আগেও দু’বার আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁরা।

যদিও ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট হোসেনারা বেগম দাবি করেন, “খাওয়ার ব্যাপারটা পড়ুয়ারাই চালায়। যখন যেমন টাকার দরকার হয় ওদের হাতে তুলে দিই। অভিযোগ তো করতেই পারে! আসলে আমি আবাসনের নিয়ম ভাঙলে বকাবকি করি, তাই আমার উপর এত রাগ।”

আবাসনের নিয়ম মোতাবেক, গ্রীষ্মকালে সন্ধে ৭ টা ও শীতকালে সন্ধে ৬ টার মধ্যে আবাসনে ফেরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কলেজ শেষে টিউশন শেষ করে অনেক দিনই ওই সময়েই মধ্যে ফেরা যায় না বলে মেয়েদের দাবি। পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করার পর জেলাশাসক এ দিন আবাসনে ফেরার সময় বাড়িয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত করে দেন। পড়ুয়া বা সুপারের নির্দিষ্ট ঘরে পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। জেলাশাসক বলেন, “নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। তার মধ্যে অধিকাংশ মেটানো গিয়েছে। বাকি দাবিগুলিও মেটানোর চেষ্টা করা হবে।’’

Muslim Girls hostel Infrastructure
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy