সহাবস্থান: দুর্গাপুরের রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে-সঙ্গেই বোমাবাজি, পার্টি অফিস ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগে তেতে উঠেছিল শহর। ভোটের আগের দিন, শনিবারেও হামলা, হুমকির অভিযোগ অব্যাহত দুর্গাপুরে।
আজ, রবিবার রাজ্যের আরও ছ’টি পুরসভার সঙ্গে ভোট দুর্গাপুরেও। শনিবার সিপিএম নেতারা মহকুমা রিটার্নিং অফিসারের কাছে তাঁদের প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের শাসানো হচ্ছে, শহরে শাসক দলের মোটরবাইক বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের বক্তব্য, ‘‘হাইকোর্ট অবাধ ভোটের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে। নির্বিঘ্নে ভোট না হলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হব।’’ অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মিথ্যে অভিযোগ করে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে সিপিএম।’’
শহরের ৪৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটিতে ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে তৃণমূল। মনোনয়ন পর্বে প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ, প্রচার-পর্বে নানা ওয়ার্ডে প্রার্থী ও কর্মীদের বাড়িতে বোমা ছোড়া, অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ বারবার তুলেছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, এ দিন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের মহিলা প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়েছে। অনেক পোলিং এজেন্টের কাগজপত্র কে়ড়ে নেওয়া হয়েছে। শাসক দলের ‘হুমকির মুখে’ সতেরোটি ওয়ার্ডে তাঁরা আদৌ পোলিং এজেন্ট বসাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে সিপিএম নেতাদের দাবি।
সমস্ত বুথে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। কিন্তু সিপিএমের অভিযোগ, ওই কাজে যুক্ত কর্মীদের ‘বিশেষ’ সময়ে রেকর্ডিং বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দিয়েছে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশও শাসক দলের নেতাদের কথামতো চলবে বলে তাদের আশঙ্কা। পঙ্কজবাবুর অভিযোগ, ‘‘শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মোটরবাইক বাহিনী। তাদের অনেকে বহিরাগত। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ বাইরে থেকে লোকজন আনা বা হুমকির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা উত্তমবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের সভা-মিছিলে জনজোয়ার দেখে সিপিএম আতঙ্কে ভুগছে। তাই পরপর মিথ্যে অভিযোগ করে চলেছে।’’
দুর্গাপুরের মহকুমা রির্টানিং অফিসার শঙ্খ সাঁতরার অবশ্য আশ্বাস, ‘‘পুলিশ সতর্ক রয়েছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy