Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Dishergarh

বেতন না মেটানোর অভিযোগ

বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিসেরগড়ের ঝালবাগান সদর কার্যালয়ের সামনে সিটু, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, আইএনটিটিইউসি-র অবস্থান শুরু হয়। সংগঠনগুলির অভিযোগ, স্থায়ী শ্রমিকেরা প্রতি মাসে বেতন সময়ে পেলেও তিন-চার মাসের বেতন বাকি পড়ে রয়েছে ঠিকাকর্মীদের।

চারটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র

চারটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডিসেরগড় শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২১
Share: Save:

বকেয়া বেতন, অবসরকালীন ভাতা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিল না মেটানোর অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটি বেসরকারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডিসেরগড় সদর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করল চারটি শ্রমিক সংগঠন। কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয় স্মারকলিপিও।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিসেরগড়ের ঝালবাগান সদর কার্যালয়ের সামনে সিটু, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, আইএনটিটিইউসি-র অবস্থান শুরু হয়। সংগঠনগুলির অভিযোগ, স্থায়ী শ্রমিকেরা প্রতি মাসে বেতন সময়ে পেলেও তিন-চার মাসের বেতন বাকি পড়ে রয়েছে ঠিকাকর্মীদের। আরও অভিযোগ, ঠিকাকর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ইএসআই-এর টাকা ঠিক সময়ে জমা দেওয়া হচ্ছে না। আগে এই টাকা সংস্থা কর্তৃপক্ষ জমা করতেন। কিন্তু সম্প্রতি সংস্থা কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারকেই সরাসরি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরেই বিপত্তি ঘটছে বলে অভিযোগ। ফলে, আগের মতোই ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলি।

বিক্ষোভকারীরা এ দিন অভিযোগ করেন, অবসরপ্রাপ্ত স্থায়ী শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটির টাকা দেওয়া হলেও বকেয়া চিকিৎসা সংক্রান্ত বিল এবং এলটিএ-এর টাকা মেটানো হচ্ছেনা। সিটু নেতা তাপস কবি, আইএনটিটিইউসি নেতা শুভেন্দু গাঁতাইত, আইএনটিইউসি নেতা চণ্ডী চট্টোপাধ্যায় ও এআইটিইউসি নেতা সিঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়দের এক সুরে দাবি, ‘‘স্থায়ী শ্রমিকদের বকেয়া গ্র্যাচুয়িটির জন্য নয় শতাংশ সুদ দিতে হবে। দ্রুত বকেয়া মেটাতে হবে। পুজোর আগেই দাবিগুলি পূরণ করতে হবে।’’তবে এ সব অভিযোগ মানতে চাননি কর্তৃপক্ষ। সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজার পার্থ চট্টরাজ বলেন, ‘‘অস্থায়ী শ্রমিকদের অগস্ট পর্যন্ত বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, যে আর্থিক সংস্থার মাধ্যমে স্থায়ী শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটির টাকা মেটানো হচ্ছে, সেই সংস্থাটি মাঝের কয়েক মাস লকডাউনের জেরে কাজ করতে পারেনি। তবে টাকা মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিলও দ্রুত দেওয়া হবে।’’

সংস্থাটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা যথাক্রমে প্রায় ২৫০ জন ও প্রায় ২২৫ জন। করোনা-পরিস্থিতিতে গত কয়েকমাস চাহিদা না থাকায় সংস্থার বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ প্রায় ১২-১৫ শতাংশ কমেছে। অথচ, চিনাকুড়িতে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনও চলছে। এই অবস্থায় সংস্থার আয় কমেছে। কিন্তু খরচ বেড়েছে। সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, কিছু সমস্যার জন্য বেতন বাকি পড়েছিল ও ভাতার টাকাও পেতে সমস্যা হয়েছিল। সেই সমস্যা মিটছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Workers' Union Dishergarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE