প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল-বিজেপির অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হল কালনার সুলতানপুর পঞ্চায়েতের ভৈরবনালা গ্রাম। বিজেপির অভিযোগ, দলের বুথ সভাপতির বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে তৃণমূলের লোকজন। তিনটি বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাঁদের এক কর্মীকে মারধর করেছে বিজেপির কয়েকজন। আবার তাঁর নামেই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ করেছে দু’পক্ষই।
কালনা শহরের বিজেপি নেতা সুশান্ত পাণ্ডের অভিযোগ, সুলতানপুর পঞ্চায়েতের বেলেরহাট এলাকায় শুক্রবার দলের দুই কর্মীকে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। রাতে কাছাকাছি ভৈরবনালা গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতেও চড়াও হয় তারা। তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে বাপন মাল নামে এক তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগও করেন তাঁরা। সুশান্তবাবুর দাবি, ‘‘বিজেপি করার অপরাধে বুথ সভাপতি-সহ এলাকার তিনটি বাড়িতে হামলায় চালিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের নেতৃত্বে একটি দল।’’ যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
সুলতানপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি রেফাতুল্লা মোল্লার দাবি, ‘‘বাপন আমাদের সক্রিয় কর্মী। ঘটনার দিন রাতে তিনি এলাকার একটি পুকুর দেখাশোনার জন্য বেরিয়েছিলেন। আচমকা তাঁকে বিজেপির কয়েকজন মারধর করে। কিডনি-সহ শরীরের নানা অংশে গুরুতর আঘাত লেগেছে তাঁর।’’ ওই কর্মীকে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। নিজের নেতৃত্বের হামলার কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এলাকায় অশান্তি এড়াতে তিনিই পুলিশকে খবর দেন। হাসপাতালে ভর্তি বাপনেরও দাবি, ‘‘তৃণমূল করি বলে পুরনো রাগ থেকেই বিজেপির কয়েকজন আমাকে মারধর করেছে।’’ কালনা থানার দাবি, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy