Advertisement
E-Paper

করোনা নিয়ে চিন্তা, সীমানা অঞ্চলে নজর

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত আন্তঃরাজ্য সীমানা পেরিয়ে যাঁরা এ রাজ্যে ঢুকবেন, তাঁদের উপরেই নজরদারি চলবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ০১:০৫
 শনিবার তেমন নজরদারি দেখা গেল না ঝাড়খণ্ড সীমানায়। নিজস্ব চিত্র

শনিবার তেমন নজরদারি দেখা গেল না ঝাড়খণ্ড সীমানায়। নিজস্ব চিত্র

লিখিত সরকারি নির্দেশ শনিবার বিকেল পর্যন্ত এসে না পৌঁছলেও করোনাভাইরাস ঠেকাতে আন্তঃরাজ্য সীমানায় নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। আজ, রবিবার সকাল থেকেই সেই নজরদারি চলবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সীমানা পারাপার করার সময়ে সব মানুষজনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং তাঁদের নাম-পরিচয় ও যাওয়া-আসার ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত আন্তঃরাজ্য সীমানা পেরিয়ে যাঁরা এ রাজ্যে ঢুকবেন, তাঁদের উপরেই নজরদারি চলবে। তাঁরা কোনও অসুখে ভুগছেন কি না, পরীক্ষা করে দেখা হবে। যদিও কোনও অসুস্থতার লক্ষণ মেলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) কস্তুরী বিশ্বাস বলেন, ‘‘জেলার আন্তঃরাজ্য সীমানায় নজরদারি চালানোর সময়ে পুলিশের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীরাও থাকবেন।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আন্তঃরাজ্য সীমানার প্রবেশদ্বার হিসাবে পাঁচটি অঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কুলটির বরাকর ও ডুবুরডিহি, সালানপুরের রূপনারায়ণপুর-বিহার রোড, চিত্তরঞ্জনের মিহিজাম লাগোয়া ১ নম্বর গেট এবং বারাবনির রুনাকুড়া ঘাটে চালানো হবে নজরদারি। জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ অনুরাধা দেব জানান, এই পাঁচটি জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন। গাড়িতে বা হেঁটে সীমানা পেরিয়ে যাঁরা এ রাজ্যে ঢুকবেন, পুলিশ তাঁদের আটকাবে। তাঁদের সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হবে। এর পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের পরীক্ষা করবেন। ডেপুটি সিএমওএইচ শনিবার বিকেলে বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ এখনও হাতে না পেলেও আমরা প্রস্তুত। নির্দেশ এসে পৌঁছলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমানার কোন এলাকায়, কত জন স্বাস্থ্যকর্মী কতক্ষণ থাকবেন, সে সব বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই অভিযান চালাতে কিছু আধুনিক যন্ত্রের প্রয়োজন, যা এখনও মেলেনি। তার মধ্যে রয়েছে এক বিশেষ ধরনের থার্মোমিটার। তবে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের আশ্বাস।

ডেপুটি সিএমওএইচ জানান, বিদেশ বা অন্য কোনও রাজ্য থেকে জেলায় আসা মানুষজনের উপরেও নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪১ জন বিদেশ থেকে এসেছেন বলে খবর মিলেছে। তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে তাঁদের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

শনিবার ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় অন্য দিনের মতোই সাধারণ পুলিশি নজরদারি দেখা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, সরকারি নির্দেশ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Coronavirus Bardhaman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy