Advertisement
E-Paper

ভিড় কমেছে পার্কে, মন্দিরে

পরবর্তী সরকারি নির্দেশিকা না মেলা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন মল কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০৩:১৩
 জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ বার্নপুরের নেহরু পার্কে। নিজস্ব চিত্র

জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ বার্নপুরের নেহরু পার্কে। নিজস্ব চিত্র

করোনা-আতঙ্ক। এর জেরে যেমন শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা তেমনি কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নন মানুষজনও। এই দুইয়ের কারণে আসানসোল মহকুমার একাধিক ধর্মীয়স্থান, শিশুউদ্যান ও শপিং মলগুলিতে মানুষের ভিড় কমতে শুরু করেছে। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, যত সম্ভব কম জমায়েত করার আবেদন করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এই আবেদনে সাড়া মিলেছে বলে দাবি তাঁর।

রাজ্য সরকারের তরফে সোমবারই সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়েছে। সেই মতো মঙ্গলবার থেকে আসানসোলের দু’টি শপিং মলে সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী সরকারি নির্দেশিকা না মেলা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন মল কর্তৃপক্ষ। আসানসোলের কল্যাণপুরে একটি শপিং মলে গিয়ে দেখা গেল, মূল গেটে নিরাপত্তারক্ষীরা ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’ নিয়ে ‘মাস্ক’ পরে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে আসা মানুষজনের দেওয়া হচ্ছে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’। ঘনঘন পরিষ্কারের কাজ চলছে শপিং মল। এই মলের ম্যানেজার নীলু বড়াল বলেন, ‘‘নির্দেশমতো সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় এ দিন ভিড় কিছু কমেছে। মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা প্রদর্শনও বন্ধ রয়েছে।’’

একই চিত্র দেখা গেল আসানসোলে দু’টি উদ্যানেও। রাজ্য সরকার সোমবারই একাধিক উদ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বার্নপুর ইস্কোর জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই নেহরু উদ্যানে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। তবে রেলের তত্ত্বাবধানে থাকা আসানসোলের শতাব্দী শিশু উদ্যানের বিষয়ে এখনও তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে ডিভিশনের জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা রেল বোর্ডের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জনসংযোগ দফতর সূত্রের খবর। বন্ধ না হলেও এই উদ্যানে ভিড় একেবারেই নেই।

ভিড় কমেছে মহকুমার একাধিক ধর্মীয়স্থানেও। সেবাইতরা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় থাকা কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার প্রায় ১০ হাজার পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। কিন্তু এই মঙ্গলবার ভিড় মাত্র পাঁচশোয় ঠেকেছে বলে দাবি মন্দিরের সেবাইত মিঠু মুখোপাধ্যায়ের। আসানসোলের ঘাগরবুড়ি মন্দিরেও অন্য দিনের তুলনায় এ দিন ভিড় কিছুটা কমেছে বলে দাবি সেবাইত সুদীপ্ত চক্রবর্তীর। তবে করোনা নিয়ে তাঁরাও সতর্ক রয়েছেন। সুদীপ্তবাবুরা বলেন, ‘‘মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের মধ্যে কাউকে অসুস্থ মনে হলে, তাঁকে ভিড় থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ সামাজিক জমায়েত প্রসঙ্গে সিএমওএইচ দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোথাও মেলা বা সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।’’

Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy