Advertisement
E-Paper

দূরত্ব রেখে কেনাকাটা

এমএএমসি টাউনশিপের মামরা বাজার, সগড়ভাঙা ঘোষ মার্কেটের চড়কতলার রেশন দোকানে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ‘সার্কেল’-এর মধ্যে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে ক্রেতাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০২:৪৪
সগড়ভাঙার এক রেশন দোকানে বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

সগড়ভাঙার এক রেশন দোকানে বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরিস্থিতিতে ‘লকডাউন’ নিয়ে টানা প্রচার। ‘কড়া’ পুলিশি পদক্ষেপ। গত কয়েক দিন ধরে এমনই নানা ছবি দেখা যাচ্ছিল জেলায়। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকে ‘লকডাউন’-পরিস্থিতির বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে, দাবি করেছে পুলিশ-প্রশাসন।

এমএএমসি টাউনশিপের মামরা বাজার, সগড়ভাঙা ঘোষ মার্কেটের চড়কতলার রেশন দোকানে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ‘সার্কেল’-এর মধ্যে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে ক্রেতাদের। কবিগুরু এলাকায় দোকানের সামনে দূরত্ব বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে হাতে লেখা পোস্টার নজরে এসেছে। বেনাচিতি বাজারেও পরিস্থিতি বুধবারের থেকে অনেক ভাল, দাবি ক্রেতা-বিক্রেতার। পানাগড়ের আনাজ বাজার আমবাগান মাঠের ফাঁকা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর ফলে ভিড় কমেছে। ভিড় ছিল না দুর্গাপুর স্টেশন চত্বর, স্টেশন বাজারেও।

ডিএসপি টাউনশিপের রাস্তাঘাট ছিল সুনসান। তবে সিটি সেন্টার এলাকায় মোটরবাইক নজরে না এলেও মাঝে-মধ্যে গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে। সিটি সেন্টারের একটি শপিং মলের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতাদের ঢুকতে হয়েছে ভিতরে। আসানসোল মূল বাজার, হাটন রোড চত্বর, রাস্তাঘাট সর্বত্র ফাঁকা ছিল। তবে সগড়ভাঙা ঘোষ মার্কেটে আনাজ দোকানে নিয়ম না মানার ছবি নজরে এসেছে।

তবে অণ্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জের আনাজ বাজারে সকাল দিকে ভিড় ছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই ভিড় ফাঁকা হয়ে যায়।

যদিও মোটের উপরে বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ড??? (????িসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত। টানা ‘মাইকিং’ করে প্রচার ও পুলিশি তৎপরতা কাজে এসেছে বলেই পুলিশকর্তাদের দাবি।

তবে জনসাধারণ খাদ্যসামগ্রী প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংগ্রহ করছেন বলে সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি মহকুমা প্রশাসনের। এ বিষয়ে মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘এক সঙ্গে বহু মানুষ একই সময়ে বাজারে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। আনাজ ও মুদিখানার সামগ্রীর সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে জানানোর পরেও অনেকে খাদ্যসামগ্রী ঘরে মজুত করে রাখছেন। সমস্যা বাড়ছে। এই মুহূর্তে নাগরিকদের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ তবে এ দিন দুর্গাপুরের বাজারে আনাজের দাম তুলনামূলক ভাবে নাগালের মধ্যে ছিল বলে জানান ক্রেতারা।

দুর্গাপুরে জাতীয় সড়কের পাশের একটি শপিং মলে একটি রিটেল সংস্থার তরফে শহরের একা থাকা ষাটোর্ধ্ব দম্পতির জন্য ‘অনলাইন ডেলিভারি’ দেওয়া শুরু হয়েছে। বিডিও (অণ্ডাল) ঋত্বিক হাজরার বক্তব্য, ‘‘সকালে হাটে, বাজারে ভিড় হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরে অনেক প্রবীণ বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারছেন না। তা জেনে ‘বন্ধু’ প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণখণ্ড পঞ্চায়েত এলাকায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার আরও সাতটি পঞ্চায়েত এলাকায় একই ভাবে কাজ শুরু হবে।”

অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানান, আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ধারাবাহিক নজরদারি চালাতে দু’টি করে চারটি ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকেও দু’টি করে ফ্লাইং স্কোয়াড বানানো হয়েছে।

Coronavirus Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy