Advertisement
E-Paper

সকালে রাস্তায় ভিড়, পুলিশের তাড়ায় সুনসান

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর, স্টেশনবাজার-সহ বিভিন্ন বাজারে মঙ্গলবার সকাল থেকে মানুষের ঢল নামে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০ ০০:১৭
মঙ্গলবার কাটোয়ায় পুলিশের টহল। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

মঙ্গলবার কাটোয়ায় পুলিশের টহল। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

শহর থেকে গ্রাম, জেলার প্রায় সব এলাকাতেই কার্যত জনশূন্য ছবি দেখা গিয়েছিল রবিবার, ‘জনতা কার্ফু’র দিন। কিন্তু মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পাঁচটি পুরসভা এলাকা ও বর্ধমান শহর লাগোয়া কয়েকটি জায়গায় ‘লকডাউন’ থাকা সত্ত্বেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা গেল অন্য ছবি। মোটরবাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি, বাজারে এক সঙ্গে অনেকের জমায়েত দেখা গেল জায়গায়-জায়গায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক ক্ষেত্রে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে হল পুলিশকে।

জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘বাজারগুলির মুখে যাতে লোকজনকে আটকে দেওয়া যায়, সে জন্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। বাজার ছাড়া, শহরের অন্য জায়গা ফাঁকাই ছিল।’’ জমায়েত দেখে নানা এলাকাতেই পুলিশ ‘সক্রিয়’ হয়েছে বলে জানান বাসিন্দাদের অনেকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর, স্টেশনবাজার-সহ বিভিন্ন বাজারে মঙ্গলবার সকাল থেকে মানুষের ঢল নামে। দুপুর পর্যন্ত রাস্তায় মোটরবাইক, পণ্যবাহী গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে। কাঞ্চননগর-সহ বেশ কিছু এলাকায় ‘ব্যারিকেড’ করেছিল পুলিশ। কে, কেন বেরিয়েছেন, কোথায় যাচ্ছেন জানার পরে ছাড় দেয় পুলিশ। সদুত্তর দিতে না পারায় অনেককে আটক করা হয়। টোটো আটক করা হয়। অকারণে জমায়েত করার জন্য যেমন লাঠি হাতে তাড়া করতে দেখা গিয়েছে, তেমনই জেলাশাসকের দফতরের কাছে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বিনীত ভাবে বোঝাতেও দেখা গিয়েছে পুলিশকে। নবাবহাট, উল্লাস বাসস্ট্যান্ডে মূল প্রবেশদ্বার লোহার পাইপ দিয়ে আটকানো ছিল।

গুসকরা শহরেও সকাল থেকে অনেকে রাস্তায় নেমে পড়েন। পুলিশ নামার পরে, তা ফাঁকা হতে শুরু করে। কাটোয়ায় বেশ কিছু জায়গায় অনেককে ঘুরতে দেখা যায়। আনাজের বাজারে ভিড় ছিল। পুলিশ পরে সে সব হটিয়ে দেয়। সোমবার রাতেও কাটোয়ায় অনেকে রাস্তায় আড্ডা দিতে আসেন বলে অভিযোগ। ৩৫ জনকে আটক করা হয়। থানায় নির্দিষ্ট দূরত্বে বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখার পরে, মুচলেকা নিয়ে কালীপুজোর ভোগ খাইয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

কালনা শহরে চকবাজার এলাকায় এ দিন সকালে অনেকে জড়ো হয়েছিলেন। হুমড়ি খেয়ে দোকান থেকে নানা জিনিস কিনতেও দেখা যায়। ‘লকডাউন’ সত্ত্বেও অত্যাবশকীয় নয়, এমন নানা জিনিসের দোকান কিছু ব্যবসায়ী খুলে বসেছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সক্রিয় হওয়ার পরে বেলা গড়াতে সুনসান হয়ে যায় এলাকা।

জেলার বিভিন্ন জায়গায় কালোবাজারি রুখতে পুলিশের প্রচার চলেছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কী-কী সতর্কতা নেওয়া দরকার, তার প্রচারও চালানো হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেকে জানান, রাস্তায় বেরোলে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে, ভিন্‌ রাজ্য বা বিদেশ থেকে আসা মানুষজনের বাড়ি গিয়ে এমন হুঁশিয়ারিতে অনেকটা কাজ হয়েছে।

জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রচুর পুলিশকর্মী রাস্তায় রয়েছেন। লকডাউন হওয়ার পরেও অকারণে মানুষ কেন রাস্তায় বেরিয়েছেন, তা জানা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

Coronavirus Health Bardhaman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy