Advertisement
E-Paper

জেলার সব নমুনার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’, দাবি ডিএমের

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বর্ধমানে চালকল, চটকল, ইটভাটা খোলার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০০:১০
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

জেলা থেকে যত জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা-পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল, সব ক’টিরই রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করলেন জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী। তিনি এ দিন দাবি করেন, জেলার প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পর্যাপ্ত ‘পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট’ (পিপিই) মজুত রয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন তৈরি রয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ দিন রাজ্যের কর্তাদের সঙ্গে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’ হয় জেলার আধিকারিকদের। তার পরে এডিজি (পশ্চিমাঞ্চল) সঞ্জয় সিংহ জানান, ‘লকডাউন’ নিয়ে আরও কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তঃরাজ্য তো বটেই, জেলার সীমানাগুলিও ‘লক’ করা হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় ‘লকডাউন’ ভাঙার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম না মানলে প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাতেও কাজ না হলে মহামারি আইনে মামলা রুজু করা হবে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বর্ধমান-সহ বেশ কিছু জেলায় ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ‘ভুয়ো’ ‘পোস্ট’ প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এডিজি জানান, এর বিরুদ্ধে টানা নজর রেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বর্ধমানে চালকল, চটকল, ইটভাটা খোলার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য। কী ভাবে কম সংখ্যক কর্মী দিয়ে কাজ করানো হবে, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে চটকল চালানো হবে, সে সব নিয়ে ইতিমধ্যে একটি রিপোর্ট রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইটভাটা ও চালকল নিয়েও সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান। পূর্ব বর্ধমানে চালকলের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশো। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি খুললেও, সেগুলি ধুঁকতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। চালকল মালিক সমিতির রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেকের বক্তব্য, ‘‘শুধু শ্রমিক নয়, চালকল অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে। সেই শৃঙ্খল চালু না থাকলে চালকল চালানো মুশকিল।’’

এ দিন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩০ জুন পর্যন্ত কোনও ‘লাইসেন্স ফি’ জমা দিতে হবে না। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মিড-ডে মিলের মতো অঙ্গনওয়াড়ির পড়ুয়া ও গর্ভবতী-প্রসূতিদেরও চাল-আলু দিতে হবে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘জুনিয়র রেসিডেন্ট’ চিকিৎসকদের ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ‘শেয়ার’ করা একটি ‘পোস্ট’-এ ‘পিপিই’ মিলছে না বলে দাবি করা হয়েছিল। জেলাশাসক অবশ্য বলেন, ‘‘দুই বর্ধমান, হুগলি ও বীরভূম— এই চারটি জেলার জন্য আমাদের কাছে প্রায় ২৬,৫০০ পিপিই রয়েছে। অর্থাৎ, পূর্ব বর্ধমানের জন্য অন্তত ৬৬০০টি রয়েছে। এ ছাড়া, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাজার দু’য়েক ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরে এক হাজার পিপিই রয়েছে। চাওয়া হলেই তা দিয়ে দেব।’’ ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় মূল ‘পোস্ট’টি কে বা কারা করেছিলেন, তা দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়, বর্ধমানের ‘কোভিড’ হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর করোনা-পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

Coronavirus COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy