Advertisement
E-Paper

করোনা-আতঙ্কের জের, শ্রমিকদের কারখানায় যাতায়াতে আপত্তি

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের অনেক কারখানাই চালু হয়ে গিয়েছে। এ বার উৎপাদন শুরু হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২০ ০১:০৩
কল-কারখানায় পাওয়ায় পথে এ ভাবেই শ্রমিকদের পথ আটকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। সোমবার দুর্গাপুরে রাতুড়িয়া হাউজ়িং কলোনি এলাকায়। ছবি: বিশ্বনাথ মশান

কল-কারখানায় পাওয়ায় পথে এ ভাবেই শ্রমিকদের পথ আটকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। সোমবার দুর্গাপুরে রাতুড়িয়া হাউজ়িং কলোনি এলাকায়। ছবি: বিশ্বনাথ মশান

শিল্পাঞ্চলে কল-কারখানা খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কারখানায় কাজ করতে বাইরে থেকে আসছেন শ্রমিক-কর্মীরা। এর ফলে, এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমন অভিযোগে রবিবার দুপুরে হ্যানিমান সরণিতে কয়েকজনকে আটকে দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এর ফলে, অনেক শ্রমিক-কর্মী কর্মস্থলে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের অনেক কারখানাই চালু হয়ে গিয়েছে। এ বার উৎপাদন শুরু হবে। সে জন্য শ্রমিক-কর্মীরা আসছেন। কিন্তু দুর্গাপুরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ডিসিএল কলোনির একাংশ, পলাশতলা, রাতুড়িয়া, হেডকোয়ার্টার, হাউজ়িং কলোনি, সুভাষপাড়ার মতো কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বাইরে থেকে এ ভাবে শ্রমিক-কর্মীরা প্রতিদিন যাতায়াত করলে করোনা-সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে। তাঁদের দাবি, কারখানায় শ্রমিক-কর্মীরা এক বার পৌঁছে গেলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে, তাঁদের ভিতরেই রাখার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু প্রতিদিন আসা-যাওয়া করা চলবে না।

এ দিন দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, মুখে ‘মাস্ক’ পরে বা রুমাল বেঁধে কয়েকজন রাস্তা দিয়ে যাওয়া শ্রমিক-কর্মীদের আটকে দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন যুবক দাবি করেন, ‘‘দুর্গাপুরে করোনার প্রকোপ শুরু হয়েছে। আমাদের বাড়ি শিল্পাঞ্চল সংলগ্ন এলাকাতেই। বাইরে থেকে এ ভাবে এত মানুষ এলাকায় ঢুকলে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, এ কথা ভেবে আতঙ্কে আছি। আমরা চাই, কারখানা চালু খাকুক। কিন্তু শ্রমিক-কর্মীরা যেন কারখানা থেকে না বেরোন।’’

অভিযোগ, কারখানায় যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে শ্রমিক-কর্মীদের অনেকেই এ দিন কাজে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। স্থানীয় কাউন্সিলর আলো সাঁতরা বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে আতঙ্কে রয়েছেন। তাই তাঁরা এমন করেছেন। সমস্যা মেটাতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলা হবে। কিছু দিন তাঁরা কারখানা চত্বরেই শ্রমিক-কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন কি না, সে আর্জি জানানো হবে।’’

Coronavirus in West Bengal Durgapur, Factory
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy