Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Volunteers

স্বেচ্ছাসেবীদের টিকার দাবি, ক্ষোভ না মেলায়

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘কারা, কারা অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা পাবেন, রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান ও কালনা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২১ ০৫:০৪
Share: Save:

টিকা না পাওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকি দেওয়া চলছে। এ বার সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত বা যোগ রয়েছে এমন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরাও টিকা পাবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। করোনা-বিধিনিষেধ চালু হওয়ার পর থেকে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খাবার বিলি, রাতবিরেতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া, কেউ আবার আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি বা সৎকারের ব্যবস্থা করছেন। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরাও। ডাক বিভাগের কর্মীরাও টিকাকরণের দাবিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি লিখেছেন।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘কারা, কারা অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা পাবেন, রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া, এখন ১৮-৪৪ বছরের বাসিন্দাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে, সবারই টিকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত শনিবার পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন সাত লক্ষ ৫৯ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ় নিয়েছেন পাঁচ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০৭ জন। দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন এক লক্ষ ৬৪ হাজার ২৮৯ জন। কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২৭১ জন। দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন ২৩,০৫১ জন। অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা নিয়েছেন প্রায় ৭৯ হাজার জন। দু’টি সংগঠনের সাহায্যে বর্ধমান ও কালনার ৫৯০ জন যৌনকর্মী, ৬৩ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, রূপান্তরকামীরাও টিকা পেয়েছেন। বর্ধমানের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা তাপস মাঁকড়ের দাবি, ‘‘আমাদের কর্মীরা বর্ধমান ছাড়া, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদে টিকাকরণের কাজ করছেন। সরকারের সাহায্যে বিনামূল্যে তাঁদের টিকাকরণ হয়েছে।’’

এ বার সরকারি অনুদান প্রাপ্ত সংস্থা ছাড়া টিকাকরণের দাবি করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’দের তরফে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা দেবজিৎ সিংহের দাবি, ‘‘করোনা, ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকায় গিয়ে আমাদের ছেলেরা কাজ করেছেন। তাঁদের টিকার বিষয়টি প্রশাসনকে দেখার অনুরোধ জানাব।’’ অনির্বাণ হাজরা নামে এক জনও বলেন, ‘‘একাধিক সংগঠন ওষুধ-অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছে। সরকার কোভিড-যোদ্ধা ঘোষণা করে টিকার ব্যবস্থা করলে দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ করবেন সদস্যেরা।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকটি ব্লকে কয়েকজন যুবক-তরুণীকে বাছাই করে টিকাকরণ হয়েছে। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (জনস্বাস্থ্য) বাগবুল ইসলাম বলেন, ‘‘কত টিকা আসছে, তার উপরে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। টাস্ক ফোর্সের আলোচনায় বিষয়টি তোলা হবে।’’

বুধবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের অনেককে। ক্ষোভ ছড়ায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, টিকা না থাকায় দেওয়া যায়নি। তবে ৪৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণ, দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই।

সম্প্রতি কালনা মহকমাশাসকের দফতরে বৈঠক করে দৈনিক টিকাকরণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতালের দাবি, বর্তমানে চারশো করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এটা ছ’শো করা হবে। তবে আশা জোগাচ্ছে আক্রান্তের গ্রাফ। সম্প্রতি কালনায় পাঁচ দিনে ১২০ জন আক্রান্ত হন। সেখানে ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। হাসপাতালের সহকারী সুপার শামিম মল্লিক বলেন, ‘‘১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকা যাতে ফের দ্রুত মেলে সে চেষ্টা শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Volunteers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE