Advertisement
E-Paper

চার নাবালককে পাচারের নালিশ, ধৃত ভাতারের দম্পতি

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ভাতারের বেলেন্ডা গ্রাম থেকে দুটি মোটরবাইকে ওই চার নাবালককে নিয়ে রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই খবর যায় থানায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০২
ধৃত দম্পতি। নিজস্ব চিত্র।

ধৃত দম্পতি। নিজস্ব চিত্র।

চার নাবালককে পাচারের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে ভাতার থানার পুলিশ। বর্ধমান শহরের চৌধুরি বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই কিশোরদেরও।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ভাতারের বেলেন্ডা গ্রাম থেকে দুটি মোটরবাইকে ওই চার নাবালককে নিয়ে রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই খবর যায় থানায়। ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানের স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও বিভিন্ন বাজারে নাবালকদের বিবরণ দিয়ে সতর্ক করে রাখেন। দুপুর ১টা নাগাদ খবর আসে, চৌধুরি বাজারে ওই কিশোরের সঙ্গে আরও তিন জন ঘোরাঘুরি করছে। পুলিশের দাবি, তাদের দেখেই মাখন শেখ নামে এক জন পালিয়ে যায়। তবে দেওয়ানদিঘি থানার খেতিয়া গ্রামের দম্পতি ছোটেলালা মাড্ডি ও লক্ষ্মী মাড্ডিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “পাচার করার আগেই চার নাবালককে উদ্ধার করা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ ধৃতদের আজ, বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলার কথা। উদ্ধার হওয়া কিশোরদেরও পাঠানো হবে আদালতে।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, অভিভাবকদের টাকা দিয়েই ওই কিশোরদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাদের গয়নার কাজ করার জন্য গুজরাত অথবা তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতুরে নিয়ে যাওয়া হত বলেও জেনেছে পুলিশ। ধৃত দম্পতির ছেলেরাও ভিন্‌ রাজ্যে গয়নার কাজ করেন। পুলিশের দাবি, নাবালক কর্মীর জোগান গিতে পারলে মোটা টাকা কমিশন পেতেন ধৃত দম্পতি। টাকার লোভ দেখিয়েই তাদের কাজে নিয়ে যাওয়া হত। এ ক্ষেত্রেও অগ্রিম ছ’হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি।

পুলিশ জানিয়েছে, চার জনের মধ্যে দু’জনের মা-বাবা পুরো বিষয়টি জানতেন। আর দু’জনের বাবা জানতেন, তাঁর ছেলেকে ভিন্‌ রাজ্যে কাজের জন্যে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে মায়েরা জানতেন না। এ দিন বেলেন্ডা থেকে চার জনকে নিয়ে যাওয়ার পরেই দু’জনের মা খোঁজখবর শুরু করেন। তাতেই জানাজানি হয় বিষয়টি। বুধবার বিকেলে থানায় বসে এক নাবালকের মা বলেন, “আমি কাজে গিয়েছিলাম। এসে জানতে পারি ছেলে নেই। তখনই পাড়ার লোকজনদের জানাই।’’ জানা গিয়েছে, নাবালকদের মধ্যে দু’জন ভাতারের একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে অষ্টম ও নবম শ্রেণির পড়ুয়া। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রতকুমার সোম বলেন, ‘‘স্কুলছুট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই। এরা কেন স্কুল ছেড়ে ভিন্‌ রাজ্যে যাচ্ছিল, তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’

Bhatar Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy