Advertisement
E-Paper

আদালতের রায়ে কাটল জট

শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ে শোনপুর বাজারি প্রকল্পের খনি অচলাবস্থা কাটল। রফা সূত্র খুঁজতে আদালতের দ্বারস্থ হয় প্যাচের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা। বৃহস্পতিবার আদালত ওই ঠিকা সংস্থাকে শ্রমিক পক্ষের দাবি মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশিকার পরে আজ, শুক্রবার থেকে ফের কাজ শুরু হবে বলেও আশা করছেন শ্রমিক ও ঠিকা সংস্থা—দু’পক্ষই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৫ ০১:৪১

শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ে শোনপুর বাজারি প্রকল্পের খনি অচলাবস্থা কাটল। রফা সূত্র খুঁজতে আদালতের দ্বারস্থ হয় প্যাচের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা। বৃহস্পতিবার আদালত ওই ঠিকা সংস্থাকে শ্রমিক পক্ষের দাবি মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশিকার পরে আজ, শুক্রবার থেকে ফের কাজ শুরু হবে বলেও আশা করছেন শ্রমিক ও ঠিকা সংস্থা—দু’পক্ষই।

ওই ঠিকাদার সংস্থা জানায়, ১৪ মে খনি পরিদর্শনের সময়ে সংস্থার কর্তাদের নজরে পড়ে, ১৭ জন শ্রমিক-কর্মী কাজ করছেন না। অভিযোগ, কাজ করতে বলায় আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন শ্রমিকেরা। সে কারণে তাঁদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে প্যাচের অধিকাংশ শ্রমিক-কর্মী ইস্তফা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এর জেরে ওই দিন থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাজ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কয়লা খাদান ঠিকা শ্রমিক কংগ্রেস। সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম বেতন, ইএসআই কার্ড, ৮ ঘণ্টা কাজ-সহ ৫ দফা দাবিতে ওই ঠিকা সংস্থাকে স্মারকলিপিও দেয় তারা।

২০ মে বৈঠকের পর ঠিকাদার সংস্থার তরফে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া-সহ একাধিক দাবি জানানো হয়। এ দিন হাইকোর্টে বিচারপতি গিরিশ ট্যান্ডন রায় দিয়ে জানান, ইস্তফা দেওয়া সমস্ত কর্মীদের কাজে পুনর্বহাল করতে হবে। এ ছাড়া শ্রমিক সংগঠনের দাবিগুলিরও আইন মেনে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। ইসিএলকেও বিচারপতি নির্দেশ দেন, কর্মীরা তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য পাচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। এ দিন শুনানি চলাকালীন কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘ওই ঠিকা সংস্থার কোনও হাজিরা খাতা নেই। তাই কোনও শ্রমিক ৩০ দিন কাজ করলেও তার কোনও হিসেব থাকে না। এর সুযোগ নিয়ে ঠিকা সংস্থা তাদের ইচ্ছেমতো বেতন দেয়।’’ এ দিন বিচারপতি ঠিকা সংস্থাকে হাজিরা খাতা চালু করারও নির্দেশ দেন।

এ দিকে রায়ের পর ঠিকা সংস্থার ডিরেক্টর শ্রীকুমার লাখোটিয়া জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ করা হবে। ইসিএল-এর সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়েরও বক্তব্য, ‘‘আদালতের নির্দেশিকা মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’ কয়লা খাদান ঠিকা শ্রমিক কংগ্রেসের নেতা নরেন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আদালতের রায়ে দাবির ন্যায্যতা প্রমাণিত হল। বৈঠকে শ্রমিকেরা আগেই জানিয়েছেন, তাঁরা কাজে ফিরতে চান। আদালত আমাদের দাবি ঠিকা সংস্থাকে মানতে বলায় কাজে যোগ দিতে কোনও বাধা রইল না।’’

pandaveswar mine congress inttuc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy