Advertisement
E-Paper

প্রস্তুতি সার, গ্রেফতার হতে গেলেন না সিপিএম নেতারা

পুলিশি ব্যবস্থা ছিল চূড়ান্ত। রাস্তার মোড়ে-মোড়ে ব্যারিকেড। থানা চত্বরে মজুত জল কামান। কিন্তু, কোনও কিছুরই প্রয়োজন পড়ল না। শেষ পর্যন্ত গণ গ্রেফতারবরণ কর্মসূচি কার্যত প্রত্যাহার করে নিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। যা নিয়ে খানিক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে দলের নিচু তলায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৫
শুধু সভা হল দলের অফিসে। নিজস্ব চিত্র।

শুধু সভা হল দলের অফিসে। নিজস্ব চিত্র।

পুলিশি ব্যবস্থা ছিল চূড়ান্ত। রাস্তার মোড়ে-মোড়ে ব্যারিকেড। থানা চত্বরে মজুত জল কামান। কিন্তু, কোনও কিছুরই প্রয়োজন পড়ল না। শেষ পর্যন্ত গণ গ্রেফতারবরণ কর্মসূচি কার্যত প্রত্যাহার করে নিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। যা নিয়ে খানিক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে দলের নিচু তলায়।

শিল্প বাঁচানোর ডাক দিয়ে শনিবার সিটি সেন্টারে সিপিএমের ডাকা সভার জেরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট হয়। তাতে আটকে পড়ে জেলাশাসকের কনভয়। জাতীয় সড়ক অবরোধে সিপিএমের ছ’জন নেতা ও দু’হাজার কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। রবিবার ৫ জন কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়। সোমবার ধৃতদের জামিন নামঞ্জুর করে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, ধরপাকড়ের নামে পুলিশ বাড়ি-বাড়ি চড়াও হচ্ছে। কর্মীরা কোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িত নন। রাজনৈতিক আন্দোলনে শরিক হয়ে এ ভাবে বাড়িতে পুলিশের চড়াও হওয়ার ঘটনা তাঁরা মানবেন না বলে দাবি করেন সিপিএম নেতৃত্ব। প্রতিবাদে মঙ্গলবার মিছিল করে দুর্গাপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা ভেবে সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে পুলিশ। পাশাপাশি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তা যাতে সামাল দেওয়া যায় সে জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। এ দিন বিকেলে নির্ধারিত সময়ে সিপিএমের কার্যালয় আশিস জব্বর স্মৃতি ভবনের সামনে জড়ো হন কয়েকশো সিপিএম কর্মী-সমর্থক। থানায় যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দেন তাঁরা। কিন্তু দলের নেতারা ঘোষণা করেন, থানায় যাওয়া হচ্ছে না। এ কথা শুনে নেতাদের সামনেই সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের একাংশ ক্ষোভ জানান। নেতারা তাঁদের বুঝিয়ে-সুজিয়ে শান্ত করেন।

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের আন্দোলনের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল, শহরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। সেখানে জোর করে থানা অভিযানের ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা ছিল। পুলিশের তরফে নির্বিচারে গ্রেফতার না করার আশ্বাস মেলায় কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

CPM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy