কমবয়সিদের মধ্যে ভুলে যাওয়ার সমস্যা বেড়েছে। যা এক কালে বৃদ্ধদের রোগ বলে চিহ্নিত হত, সেই ডিমেনশিয়ার আতঙ্কে ভুগছে তরুণ প্রজন্ম। কিন্তু ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ মূলত বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডিমেনশিয়া মূলত ৬০ বছরের আশপাশে শুরু হয়। ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস, কলকাতার মনোরোগ চিকিৎসক সৌভিক চক্রবর্তীর মতে, কমবয়সিদের মধ্যে এই রোগ খুবই বিরল। জিনগত কারণে হতে পারে কম বয়সে। তবে তাঁদের মধ্যে ভুলে যাওয়ার সমস্যার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে, যেমন মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, খাদ্যাভ্যাস, মানসিক রোগ, ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার, মনোযোগের অভাব ইত্যাদি। তবে যদি ভুলে যাওয়ার সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এমনই সময়ে, হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মেডিসিনের অধ্যাপক তৃষা প্যাসরিচা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমানোর একটি উপায় বাতলে দিলেন নেটমাধ্যমে। সুদোকু খেলা, শব্দ নিয়ে খেলা, ধ্যান, ইত্যাদির বাইরে গিয়ে বিশেষ এক পন্থার কথা উল্লেখ করলেন তিনি। আর তা হল, নৃত্য। চিকিৎসকের কথায়, ‘‘নতুন বছরে যাতে আনন্দ করে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেন, তাই জন্যই আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি এই তথ্যটি। ১৯৮০ সাল থেকে বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সপ্তাহে একেবারেই নাচ করেননি, তাঁদের তুলনায় যাঁরা এক বারের বেশি নাচ করেছেন, তাঁদের ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭৬ শতাংশ কম।’’
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল থাকে নৃত্য অনুশীলনে। ছবি: সংগৃহীত।
নাচের মতো শিল্প এবং অনুশীলন একই সময়ে মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্তরকে সক্রিয় করে তোলে। ছন্দের প্রতি মনোযোগ, নাচের প্রত্যেকটি ভঙ্গি ও মুদ্রা মনে রাখা, নতুন কোনও নাচের ভঙ্গি বানিয়ে নেওয়া, গানটি শোনা, নাচের জায়গাটি সম্পর্কে সতর্ক থাকা, দেহের ভারসাম্য রাখা, এই সমস্ত দিক মাথায় রাখতে হয়। তাতে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
আরও পড়ুন:
নতুন বছরে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য হাঁটা এবং নাচের মধ্যে বেছে নিতে হলে নাচকেই বেছে নিতে বলছেন চিকিৎসক। কেবল তা-ই নয়, নাচ করলে স্ট্রেস হরমোন কমে গিয়ে ডোপামাইন, সেরোটোনিন, এন্ডরফিন্স এবং অক্সিটোসিনের মতো হরমোনের মাত্রা বাড়তে থাকে।