দুর্গাপুরে কর্মিসভা। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের পুরবোর্ডের কাজকর্ম নিয়ে শহরবাসী হতাশাকে কাজে লাগাতে হবে পুরভোটে, কর্মিসভায় ডাক দিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। বুথকর্মীদের উদ্দেশে দলের নেতাদের বার্তা, মানুষ ভোট দিতে পারলেই জয় নিশ্চিত। সে কথা মাথায় রেখে রণকৌশল চূড়ান্ত করতে হবে। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘মানুষ যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে ৭ জুলাই কলকাতায় নির্বাচন কমিশনে সর্বদল বৈঠকের দিনেই মহকুমাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেব আমরা।’’
২০১২ সালে ভোটে হেরে দুর্গাপুর পুরসভা হাতছাড়া হয় বামেদের। ২০১৪ থেকে বেহাল পুর পরিষেবার অভিযোগে এবং শিল্পের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করে সিপিএম। গত বছর কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়ে তৃণমূলের হাত থেকে দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভা আসনই ছিনিয়ে নেয় তারা। দুর্গাপুরের পশ্চিমের কংগ্রেস বিধায়কের অবশ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সম্প্রতি জল্পনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ১৯ জুন তিন বাম কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। সব মিলিয়ে পুরভোটের ঠিক আগে খানিকটা বেকায়দায় পড়েছে সিপিএম।
যদিও প্রকাশ্যে সে কথা মানতে নারাজ সিপিএম নেতারা। উল্টে তাঁদের দাবি, বর্তমান পুরবোর্ডের আমলে ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা থেকে শহরবাসী বঞ্চিত। দুর্নীতিতেও অভিযুক্ত হয়েছে পুরবোর্ড। সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে অস্বচ্ছতা, কর্মী নিয়োগে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি-সহ নানা বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এ সবই তাঁদের পক্ষে যাবে বলে সিপিএম নেতাদের দাবি।
রবিবার সিটি সেন্টারে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে দলের এক বুথকর্মী সম্মেলনে নেতারা কর্মীদের ওই সব বিষয় আরও বেশি করে মানুষের তুলে ধরার পরামর্শ দেন। পঙ্কজবাবু বলেন, ‘‘পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা শুধু আমরা বলছি না, তৃণমূলের এক মেয়র পারিষদও সম্প্রতি এমন অভিযোগ এনেছেন। দুর্গাপুরের মানুষ তাই আর তৃণমূলের বোর্ড চাইছেন না।’’ ভোট লুঠের সম্ভাবনার অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই, সবাই নিজের ভোট নিজে দিন। কোথাও সমস্যা হলে আমাদের দলের কর্মীরা সাধ্যমতো পাশে থাকবেন। ভোটার কাকে ভোট দেবেন সেটা তাঁর বিষয়।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিবাস্বপ্ন দেখছে সিপিএম। ওদের অপপ্রচারে দুর্গাপুরের মানুষ আর বিভ্রান্ত হওয়ার ভুল করবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy