মাথার উপরে পাখা ঝুলছে, কিন্তু তা ঘোরে না। মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়ছে টিন ও অ্যাসবেস্টসের ছাউনি। উধাও হয়ে গিয়েছে চেয়ারগুলি। এমনই হাল আসানসোলের রবীন্দ্রভবন লাগোয়া রেলের টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্রটির। অথচ, রেল না পুরসভা সংস্কারের দায়িত্ব কার, তা নিয়ে চলছে টালবাহানা।
বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা মেনে, ২০০৯ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংরক্ষণ কেন্দ্রটি তৈরির নির্দেশ দেন। তৃণমূল পরিচালিত আসানসোল পুরসভার উদ্যোগে রবীন্দ্রভবন চত্বরে সংরক্ষণ কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। কিন্তু তার পরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খণ্ডহর সংরক্ষণ কেন্দ্রটি।
অথচ এই পরিস্থিতিতেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে টিকিট কাটেন শহরবাসী। বুধবার টিকিট কাটতে এসেছিলেন আসানসোলের শ্রীপল্লির এক জন। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘এখানে পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার কিছুই নেই।’’ স্নেহাশিস বিশ্বাস নামে এক প্রবীণ নাগরিক বলেন, ‘‘দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পা ধরে গেল। কোথাও একটু জিরিয়ে নেব, তারও উপায় নেই।’’ তা ছাড়া সংরক্ষণ কেন্দ্রের ছাউনি বেহাল হওয়ায় বর্ষায় দাঁড়িয়ে থাকাও দায় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রটির দুর্দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেলকর্মীরাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁদের এক জনের দাবি, মাঝেসাঝেই বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না এখানে। কম্পিউটার কাজ না করায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গ্রাহকদের।
পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বনাথ মুর্মুর দাবি, ‘‘ওই সংরক্ষণ কেন্দ্রটির দেখভাল ও সংস্কার কাজ করার দায়িত্ব পুরসভার। রেলের তরফে শুধুমাত্র টিকিট দেওয়া হয়।’’ আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির অবশ্য আশ্বাস, ‘‘সংরক্ষণ কেন্দ্রটির এমন হাল, জানতাম না। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করছি।’’