Advertisement
E-Paper

নিষেধ সত্ত্বেও নাবালিকার বিয়ে, নালিশ

নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে শুনে গ্রামে গিয়ে আটকেছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। বাড়ির লোকজন প্রতিশ্রুতি দেন, বিয়ে দেওয়া হবে না। কিন্তু তার পরেও মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন, পুলিশকে এ কথা জানিয়ে তদন্ত করতে বললেন জামুড়িয়ার বিডিও বুদ্ধদেব পান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ০৬:২৫

নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে শুনে গ্রামে গিয়ে আটকেছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। বাড়ির লোকজন প্রতিশ্রুতি দেন, বিয়ে দেওয়া হবে না। কিন্তু তার পরেও মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন, পুলিশকে এ কথা জানিয়ে তদন্ত করতে বললেন জামুড়িয়ার বিডিও বুদ্ধদেব পান।

শিশুকল্যাণ বিভাগের ইনস্পেক্টর কার্তিক মণ্ডল জানান, রবিবার সন্ধ্যায় চুরুলিয়া থেকে এক জন ফোন করে তাঁকে জানান, স্থানীয় শৈলবালা বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক বছর পনেরোর ছাত্রীর বিয়ে দিচ্ছেন বাড়ির লোকজন। তিনি ফোনে বিষয়টি জানালে বিডিও তাঁর অফিসের তিন কর্মীকে তাঁর সঙ্গে চুরুলিয়ায় পাঠান। যায় পুলিশও। কার্তিকবাবু বলেন, “মেয়েটির বাবা লিখিত আকারে জানান, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। আমরা ফিরে আসি।”

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পিন্টু মিশ্র এই বিয়ে যাতে না হয়, তা দেখার দায়িত্ব নেন। আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, “রবিবার রাতে বিয়ে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নাবালিকার বাবা। কিন্তু সোমবার দুপুরে বিডিও খবর পান, মেয়েটির বিয়ে দিয়েছে বাড়ির লোকেরা। বিডিও জামুড়িয়া থানায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ধারায় মামলা করার আবেদন করেছেন।”

মেয়েটির বাবা পেশায় দিনমজুর। তাঁর অবশ্য দাবি, “বিয়ে দেওয়া হয়নি। মেয়ের ১৮ বছর বয়স হলে বিয়ে দেব।’’ উপপ্রধান পিন্টুবাবু বলেন, “মেয়েটিকে হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজন আর্শীবাদ করে গিয়েছেন। উপযুক্ত বয়স হলেই এই বিয়ে হবে।’’

minor marriage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy