তাঁদের কাছে দুর্গাপুর পুরসভার ভোট ‘অ্যাসিড টেস্ট’, দলের কর্মী সম্মেলনে এসে জানিয়ে গেলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দুর্গাপুরই রাজ্য-রাজনীতিতে দিশা দেখা দেখাবে বলে কর্মীদের কাছে দাবি করেন তিনি। এখনও যে-যে ওয়ার্ডে বুথ কমিটি গড়া হয়নি সেখানে দশ জনের কমিটি গড়ে কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
শনিবার দুর্গাপুরে দলের আসানসোল জেলা কমিটির বুথ-কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন দিলীপবাবু। এ দিন সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে তিনি বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে দুর্গাপুরে বড় মিছিল হয়েছে। এত লোক কোনও দিন এখানে হয়নি।’’ মানুষ স্বতস্ফূর্ত ভাবে মিছিলে যোগ দিয়েছেন দাবি করে তাঁর বক্তব্য, ‘‘পুরসভা নির্বাচনে আমাদের সামনে আর কেউ নেই। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’’ কর্মীদের তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের বুথ আগলান। ভোটে জেতানো, মেয়র দেওয়ার দায়িত্ব আমার।’’ রাজনৈতিক রং না দেখে প্রতি বাড়িতে যেতে বলেন তিনি।
এ দিন দিলীপবাবু তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট চালানো, শিক্ষায় নৈরাজ্য তৈরি, পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগ তোলেন। বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগও করেন।
২০০২ সালে বিজেপি প্রথম খাতা খোলে দুর্গাপুর পুরসভায়। মাঝে ২০০৭ সালে কোনও আসন পায়নি। ২০১২ সালে ৪৩ ওয়ার্ডের এই পুরসভার ভোটে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী মনোজ সিংহ প্রায় তিনশো জেতেন। কিন্তু দলীয় কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৬-র জানুয়ারিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এ দিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি কর্মীদের অতীত নিয়ে না ভেবে সামনে তাকানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘‘যেখানেই ভোট হচ্ছে বিজেপি জিতছে। মানুষ সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল— সব দেখে নিয়েছে। তাই এ বার বিজেপি এগিয়ে আছে।’’
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির কথা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, পুরভোটে দল ভাল ফল করবে, বিজেপি-র স্থানীয় কর্মীরাও এই আশা করেন না। উত্তমবাবুর কটাক্ষ, ‘‘আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। উনি (দিলীপবাবু) কলকাতা থেকে এসে পাগলের প্রলাপ করে গেলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy