E-Paper

চিত্তরঞ্জন রোড হবে জাতীয় সড়ক, নির্মাণ ভাঙা নিয়ে ভাবনা

প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। প্রায় ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ০৯:০৬
চিত্তরঞ্জন যাওয়ার রাস্তার এখন এমনই অবস্থা।

চিত্তরঞ্জন যাওয়ার রাস্তার এখন এমনই অবস্থা। ছবি: পাপন চৌধুরী।

চিত্তরঞ্জন রোডকে জাতীয় সড়ক পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সে জন্য কেন্দ্র থেকে বরাদ্দও মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রকল্প রূপায়ণের প্রাথমিক পদক্ষেপ শুরুর আগে সোমবার বৈঠক করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, সব ঠিক থাকলে দু’বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে এই জাতীয় সড়ক। সেক্ষেত্রে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সঙ্গে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। তবে এই রাস্তা তৈরির জন্য কিছু এলাকায় রাস্তার পাশে কিছু নির্মাণ ভাঙতে হবে। সে নিয়ে খানিক চিন্তা রয়েছে প্রশাসনের।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কুলটির চৌরঙ্গি মোড় এলাকা থেকে রূপনারায়ণপুরের দিকে যাওয়া চিত্তরঞ্জন রোডকে জাতীয় সড়ক পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা হয়েছে।
যদিও চিত্তরঞ্জন শহর পর্যন্ত এই সড়ক তৈরি হবে না। রূপনারায়ণপুর রেলসেতুর বাঁ পাশে বিহার রোডে মিশে সড়কটি পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানার টোল আদায় কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। প্রায় ৯ কিলোমিটার এই রাস্তায় দু’টি লেন তৈরি হবে। প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। প্রায় ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। এ নিয়ে জেলাশাসক এস পুন্নমবলমের নেতৃত্বে সোমবার জেলা প্রশাসনের একটি বৈঠক হয়। জেলাশাসক বলেন, ‘‘গুরুত্বের সঙ্গে এই সড়ক তৈরি করা হবে।’’

তবে এই সড়ক নির্মাণ খুব সহজে হবে না বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, চিত্তরঞ্জন রোডের কিছু অংশে রাস্তার দু’পাশে অনেক নির্মাণ ভাঙতে হবে এর জন্য। কারণ, দুই লেনের রাস্তাটি প্রায় ১২ মিটার চওড়া হবে। রাস্তার পাশে ফুটপাত, নর্দমা, জলের পাইপলাইন যাওয়ার জায়গা রাখতে হবে। নির্মাণ ভাঙতে বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আল্লাডি, জেমারি ও দেন্দুয়া এলাকায় সার্ভিস রোড তৈরি হবে। হাওড়া-নয়া দিল্লি রেললাইনের দেন্দুয়া লেভেল ক্রসিংয়ে একটি উড়ালপুল তৈরি করা হবে। এ ছাড়া রাস্তার উপরে একাধিক কালভার্ট ও ছোট সেতু তৈরি হবে। জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউড়ি জানান, প্রাথমিক ভাবে প্রায় চারশো নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। সেগুলি সালানপুর, দেন্দুয়া, জেমারি, আল্লাডি এলাকায় রাস্তার দু’পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘‘সে জন্য ওই সব নির্মাণের মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’

শিল্পাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোড ধরে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, মিহিজাম, দেওঘর, দুমকা সহজে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু রাস্তাটি সঙ্কীর্ণ হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা হয়। সময়ের সঙ্গে এই রাস্তায় যান চলাচল বাড়ছে। ফলে, জাতীয় সড়ক স্তরে উন্নীত হলে যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে মনে করেন শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের অনেকেই।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chittaranjan Asansol

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy