—প্রতীকী ছবি
দেশে করোনার নতুন রূপ জেএন.১-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে মৃত্যুর খবরও। এই আবহে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। সতর্কবার্তা শোনা গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও। তবে, পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, করোনা পরীক্ষা না করানোটা বিপজ্জনক।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৩৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবারই নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে আরটিপিসিআর পরীক্ষা হচ্ছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ও জেলার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলিতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার কিট দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, জেলা হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও কেউ করোনা পরীক্ষা করাতে আসছেন না। জেলা হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর পরীক্ষা করিয়েছেন আট জন। জেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক আধিকারিক জানান, করোনা সংক্রমণ শুরুর পরে সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী যে কোনও শল্য চিকিৎসা করাতে গেলে আগে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ছিল। সেই বিধি উঠে যাওয়াটাও করোনা পরীক্ষা কম করাতে আসার অন্যতম কারণ।
তবে নিশ্চিন্ত নন চিকিৎসকেরা। রাজ্যের কোভিড মনিটরিং কমিটির কোঅর্ডিনেটর সমরেন্দ্রকুমার বসু জানান, করোনার নতুন স্ট্রেনটি উঁকি দিয়েছে। প্রশাসনের উচিত বিপর্যয় ঘটার আগে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ করা। তাঁর কথায়, “মানুষকে সচেতন হতেই হবে। অনেকেই চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করাতে বললেও করছেন না। অথচ, এই নতুন স্ট্রেনটি খুবই জটিল। আক্রান্ত হলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে।”
বাসিন্দাদের সচেতন না হওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেল। গত কয়েক দিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত
এক জন বললেন, “এ সব আবহাওয়া বদলের জন্য হচ্ছে। করোনা নিয়ে ভাবার কিছু নেই!”
এ দিকে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) শেখ মহম্মদ ইউনুস জানান, প্রায় এক বছর করোনা টিকা দেওয়া বন্ধ। পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও মানুষ তাতে আগ্রহী নন। তাঁর কথায়, “এটা হতেই পারে, সরকারকে কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করতে হবে। আমরাও করোনা পরীক্ষায় মানুষকে উৎসাহিত করতে প্রচার চালাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy