ব্যারাজের লকগেট মেরামতের কাজে যত সময় লাগছে, জল নিয়ে তত হাহাকার বাড়ছে দুর্গাপুরে। কোথাও কাউন্সিলরের স্বামীকে ঘিরে বিক্ষোভ, কোথাও পুরসভার পাঠানো ট্যাঙ্কার বা পাউচের জল নিতে করোনা-বিধি ভেঙে হুড়োহুড়ি মতো ঘটনা ঘটে সোমবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শহরবাসীর অনেকে। শহরের মেয়র দিলীপ অগস্তি অবশ্য বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত জল মিলছে না, এটা ঠিকই। তবে সোমবারও কয়েকটি ওয়ার্ডে জল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো, পাউচ বিলির মতো বিকল্প ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।’’
জলের সমস্যা মেটাতে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি এ দিন দুর্গাপুরে পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নিয়ে বৈঠক করেন। পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বয় বৈঠক করা হয়েছে। আরও দু’তিন দিন যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, সে কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিন হাজার লিটারের একশো ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিনে ৩-৪ বার করে ট্যাঙ্কার পাঠানো হবে। এ ছাড়া জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর প্রতিদিন ৫ লক্ষ করে পাউচ দেবে। কোথায়-কোথায় জল পাঠাতে হবে সব নির্দিষ্ট করা হয়েছে বৈঠকে। ডিএসপি টাউনশিপে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ জল সরবরাহ করবেন। তার পরেও যদি দরকার পড়ে, তাহলে জল পাঠানো হবে।’’
রবিবার ডিপিএল কলোনিতে জল আসেনি। তবে সোমবার সেখানে কিছুক্ষণের জন্য জল দেওয়া হয়েছে। তবে বাসিন্দাদের দাবি, জলের তোড় কম থাকায় দোতলায় জল ওঠেনি। নীচ থেকেই জল সংগ্রহ করতে হয়েছে। বিধাননগরের হাডকো মোড়, ব্যাঙ্ক কলোনি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার জল পেলেও সোমবার আর আসেনি। এলাকার বিভিন্ন আবাসনে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ট্যাঙ্কারের জল কেনার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। সেপকো টাউনশিপেও এ দিন জল মেলেনি। রবিবার দুপুর থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত এক ফোঁটাও জল আসেনি বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সেখানকার কিছু বাসিন্দা।