ভাইকে পিটিয়ে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। কালনা ২ ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের কেলনই গ্রামে নিহতের ওই দুই দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত বিকাশ সর্দার (২৬) পেশায় রাজমিস্ত্রি। তবে এলাকার একটি তাসার দল তাঁকে মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় বাজনা বাজানোর জন্য ডাকে। পরিবারের সদস্যদের একাংশের অভিযোগ, বিকাশের দুই দাদা অশোক সর্দার ও তাপস সর্দারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল। এ ছাড়া বিকাশের বিরুদ্ধে মদ্যপানের অভিযোগেও দুই দাদা অসন্তোষ জানাত। বিকাশের সঙ্গে বারবার তাদের মনোমালিন্যও হচ্ছিল।
পরিবার সূত্রের দাবি, শুক্রবার গভীর রাতে একটি পুজোর বিসর্জন শেষে মদ্যপান করে বাড়ি ফেরা নিয়ে বিকাশের সঙ্গে স্ত্রী সোনালির কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময়ে বিকাশ বাড়িতে চিৎকার শুরু করেন। অভিযোগ, তখন দুই দাদা নিজেদের ঘর থেকে বেরিয়ে এলে বিকাশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়। বিকাশ এক দাদার ঘরের কয়েকটি টালি খুলে দেন। সোনালিদেবী অভিযোগ করেন, এর পরেই দুই দাদা লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন তাঁর স্বামীকে। কিছুক্ষণ পরে বিকাশের মৃত্যু হয়।
অন্তঃসত্ত্বা সোনালিদেবীর অভিযোগ, ‘‘স্বামীর মৃত্যুর পরে দুই ভাসুর দেহ পাটকাঠির আগুনে পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। যদিও খবর পেয়েই পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’’ সোনালিদেবীর এক আত্মীয় কার্তিক ক্ষেত্রপাল দাবি করেন, ‘‘এ ভাবে এক জনকে পিটিয়ে খুন বর্বরোচিত ঘটনা। পুরনো রাগেই দুই দাদা এই নৃশংস কাজ করল।’’
কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু খামারু শনিবার বলেন, ‘‘দুই দাদা ভাইকে খুন করে তাঁর দেহ পাটকাঠিতে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানা গিয়েছে। শর্ট সার্কিটে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy